পঞ্জশিরের যোদ্ধারা হাত পেতে টাকা নিচ্ছে তালিবানের থেকে!

পঞ্জশিরের যোদ্ধারা হাত পেতে টাকা নিচ্ছে তালিবানের থেকে!

be2f118f39ef18a6d50e31d1626f55bc

কাবুল: আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর তালিবান প্রথম থেকেই দাবি করছিল যে পঞ্জশির তারা দখল করেছে। কিন্তু প্রতিরোধ বাহিনী তথা নর্দান অ্যালায়েন্স প্রত্যেকবার তাদের দাবি নস্যাৎ করেছে। কিন্তু এবার যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল তাতে দেখা যাচ্ছে যে, তালিবানদের হাত থেকে গুনে গুনে টাকা নিচ্ছে পঞ্জশির যোদ্ধারা! এতদিন তালিবানদের বিরুদ্ধে আফগান প্রতিরোধের প্রতিনিধি ছিলেন এরা কিন্তু এবার তারাই আত্মসমর্পণ করে দিলেন। শুধু তাই নয়, আত্মসমর্পণ করার পর নিজেদের হিসাব মতো অর্থ পুরস্কার নিলেন তারা। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল।

আরও পড়ুন- নতুন করে কোনো অর্থ বরাদ্দ নয়! নির্বাচন প্রসঙ্গে জানাল কমিশন

যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, আত্মসমর্পণকারী যোদ্ধাদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে তালিবান আর সেই টাকা তারা গুনে গুনে নিচ্ছে। তবে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে যে যারা এতদিন ধরে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিল তারা এতো সহজে হার মেনে নিল কেন। যদিও অন্য একটি সূত্রের খবর, তালিবান বিরোধী বিদ্রোহের নেতা আহমেদ মাসুদ-সহ তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গীরা এখনও পঞ্জশিরেই রয়েছেন এবং তাঁরা তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই থামাবেন না। গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখলের পর প্রায় গোটা আফগানিস্তান তালিবানের হাতে চলে এলেও পঞ্জশিরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে মাসুদের বাহিনী। সেখানে এতদিন ধরে প্রতিরোধ চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রতিরোধ বাহিনীর অন্যতম নেতা আহমেদ মাসুদের বাড়ির সামনে দেখা গিয়েছে তালিবান জঙ্গিদের।

ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে তালেবান মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ পঞ্জশির তারা দখল করে নিয়েছে। তাই গোটা আফগানিস্তান এখন তাদের কবলে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এখন একটি গোপন ডেরায় রয়েছে তালিবান বিরোধী নেতা আমরুল্লা সালেহ এবং আহমেদ মাসুদ। কিন্তু সেই মাসুদের বাড়ি কার্যত দখল করে নিয়েছে তালিবান। ইতিমধ্যে পঞ্জশিরের সরকারি ভবনের তালিবানি পতাকা উড়তে দেখা গিয়েছে এবং এলাকায় বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনাও ঘটেছে। তাই মনে করা হচ্ছে যে তালিবান সত্যি সত্যি ওই প্রদেশ দখল করতে সক্ষম হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *