কাবুল: আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পরেই মহিলাদের বিরুদ্ধে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করেছিল তালিবান। ফতোয়া জারি করে তাঁদের কার্যত ঘরবন্দি করে দেওয়া হয়েছিল। ঘোষণা করা হয়েছিল যে মহিলারা বাইরে কাজ করতে পারবেন না, বাড়ির বাইরে একা বেরতে পারবেন না, এমনকি ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়াশুনা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে তারা। কিছুদিন আগে পরোক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে মহিলাদের তালিবান জানিয়েছেন যে, তারা যেন বাড়িতেই থাকে। বলা হয়েছিল, ‘নিরাপত্তার’ স্বার্থে নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখন মহিলাদের কাজে ফেরার বার্তা দিচ্ছে তালিবান। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন?
আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, মহার্ঘ ভাতার পর এবার বাড়ছে বেতন
তালিবানি মুখপাত্র সুহেল শাহিন টুইট করে জানিয়েছে যে, কাবুল সহ অন্যান্য অঞ্চলের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে কাজে ফেরেন। সে স্পষ্ট জানিয়েছে, রাজধানী ও সমস্ত প্রদেশের সমস্ত মহিলা কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ইসলামিক এমিরেটসদের মহিলাদের কাজ শুরু করা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর এক সাংবাদিক বৈঠকে তালিবান জানিয়েছিল যে, আগের সরকারে যেমন মহিলারা কাজ করতেন, এই সরকারেও তারা বিভিন্ন সরকারি বিভাগের অধীনে কাজ করতে পারবেন। যদিও পুরোটাই হবে শরিয়ত আইন মেনে। কিন্তু তালিবানি বক্তব্য এবং বাস্তব চিত্র অনেকাংশেই আলাদা দেখা গিয়েছে। তাই এবার কীসের প্রেক্ষিতে তালিবান মহিলাদের কাজে ফেরার বার্তা দিল তা বোঝা আপাতত কঠিন।
আরও পড়ুন- ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে রেলে চাকরির সুযোগ
আফগানিস্তান দখল করার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে তালিবানের বক্তব্য ছিল, আগের থেকে তারা অনেক বদলে গেছে এবং নারী সুরক্ষা এবং তাদের চাকরি নিয়েও তারা পদক্ষেপ নেবে। এমনকি সবসময় বোরখা পরতে হবে না মহিলাদের, শুধুমাত্র হিজাব পড়লেই চলবে। কিন্তু বিগত কয়েক দিনে যে সমস্ত নিয়ম তারা জারি করেছে তার প্রায় পুরোটাই নারীবিরোধী।