ঢাকা: এক ঘুমে সাত দিন পার৷ একাই খেয়ে নেন প্রায় দশ জনের খাবার৷ না কোনও গল্প কথা নয়৷ সত্যেই এমন এক অদ্ভূত মানুষের সন্ধান মিলেছে বাংলাদেশের মাণিকগঞ্জে৷ গত ২০ বছর ধরে এভাবেই কাটছে ভোম্বল শীল নামে ওই যুবকের জীবন৷ কিন্তু কেন এমন আচরণ তাঁর? চিকিৎসকরা বলছেন, এটি একটি জটিল মানসিক রোগ৷ চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা সম্ভব৷
আরও পড়ুন- ‘অভিশপ্ত’ ২০২০-র শেষ সূর্যাস্ত, আগামীর অপেক্ষায় এই শহর
ভোম্বল ঘুমিয়ে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা৷ কখনও কখনও তো ঘুমিয়ে পড়েন শৌচাগারেই৷ সেখানেই হয়তো ঘুমিয়ে পাড় করে দেন দুই-তিন দিন৷ তবে তাঁর চলাফেরা বা কথাবার্তা শুনে বোঝার উপায় নেই যে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত৷ বা আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক নন৷ তবে তাঁর জীবন যাপন বড্ড অদ্ভূত৷ যেন এ বিশ্বে তিনি এক বিচিত্র প্রাণী৷
মাণিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বছর ৩৫ এর ভোম্বল শীলের অধিকাংশ সময়ই কাটে ঘুমিয়ে৷ এক ঘুমে পাড় করে দেন গোটা সপ্তাহ৷ প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে মাঝে মধ্যে উঠে শৌচাগারে যান৷ তবে সেখানে গিয়েও ঘুমিয়ে পড়েন৷ স্নান করতেও লাগে দীর্ঘ সময়৷ একবার পুকুরে নামলে সকাল পেরিয়ে বিকেল হয়ে যায়৷ ভোম্বল বলেন, একটানা চার থেকে সাত দিন ঘুমাই৷ না খেয়ে শুধু ঘুমিয়ে দিনের পর দিন কেটে গিয়েছে৷ এই সাতদিনে এক ফোঁটা জলও খাইনা৷ শীর্ণ শরীর হলেও, খেতে পারেন প্রায় দশ জনের খাবার৷ পরিবারের সদস্যরা তাঁর রসদ জুগিয়ে উঠতে পারেন না৷ একমাত্র সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে তবেই খেতে পান পেট ভরে৷ এক পরিচিত বলেন, ভোম্বল একাই তিন-চার জনের খাবার খেয়ে ফেলে৷ আবার দশ দিন না খেয়েও থাকতে পারে৷
আরও পড়ুন- চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা রয়েছে ট্রাম্পের! বেনজির আক্রমণ বিডেনের
পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৫ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিল ভোম্বল৷ এর পর ধীরে ধীরে তার আচরণে বদল ঘটতে থাকে৷ কিন্তু টাকার অভাবে তাঁর চিকিৎসা করাতে পারেননি৷ পরিবারের কারোরই উপার্জন বেশি নয়৷ বাইরে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর ক্ষমতা নেই তাঁদের৷ তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগের চিকিৎসা আছে৷ ঠিক ভাবে চিকিৎসা করালে এই অসুখ সেরে যায়৷