প্রতিশ্রুতিই সার! আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা গভর্নরকে বন্দি বানাল তালিবান

প্রতিশ্রুতিই সার! আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা গভর্নরকে বন্দি বানাল তালিবান

কাবুল: ২০ বছর পর ফের তালিবানি দখলে আফগানিস্তান৷ বিনা দ্বন্দ্বে গদি ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আফরফ গনি৷ দেশ ছেড়েছেন অন্যান্য রাজনীতিবিদরাও৷ কাবুল বিমানবন্দরে দেশ ছাড়ার হুড়োহুড়ি৷ যদিও ‘বদলে যাওয়া’ তালিবানের আশ্বাস তাদের শাসনে শিক্ষার অধিকার পাবে মেয়েরা৷ চাকরি করতে পারবে৷ কিন্তু আশ্বাসই সার৷ আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা গভর্নর সালিমা মাজারিকে বন্দি বানাল জঙ্গি সংগঠন৷ 

আরও পড়ুন- ভয় নেই! আফগানিস্তান কোনও দেশের কাছে হুমকি নয়, বার্তা তালিবানের

কয়েক বছর আগে আফগানিস্তানে তিনজন মহিলাকে গভর্নর নির্বাচিত করা হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সালিমা৷ এক সময় তালিবানের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন তিনি৷ তখন গোটা দেশজুড়ে চলছে তালিবানি টহল৷ বলখা প্রদেশের ছাহার কিন্ট এলাকা আলিবানের হাত থেকে বাঁচাতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলে এই অগ্ন কন্যা৷ তাঁর কাছে তখন একটাই লক্ষ্য, নিজের এলাকা রক্ষা৷ কিন্তু বদলের কথা বলা তালিবান বদলার পথেই হাঁটল৷ জানা গিয়েছে, সালিমা মাজারিকে বন্দি বানিয়েছে তালিবান৷ 

তালিবানের শাসনে কী অবস্থা হবে মেয়েদের? ইতিমধ্যেই মহিলাদের জন্য একাধিক ফতোয়া জারি করা হয়েছে। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন পরিবারের সদস্যের সঙ্গেই একমাত্র রাস্তায় বেরোতে পারবেন আফগানি মহিলারা। এছাড়া শুধুমাত্র স্বামীর সঙ্গে রাস্তায় বেরোনো যাবে, আর কোন ভাবে তারা রাস্তায় বেরতে পারবেন না। একইসঙ্গে রাস্তায় বেরোলে বোরখা এবং হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে মহিলাদের পায়ের শব্দ যাতে অন্য পুরুষের কানে না যায় সেই জন্য হিল জুতো পরা যাবে না, মহিলাদের গলার আওয়াজ যাতে অন্য পুরুষের কানে না যায় সেজন্য উঁচু গলায় কথা বলা যাবে না! বাড়ির মহিলারা ব্যালকনিতে আসতে পারবেন না৷ 

আরও পড়ুন- বন্দুকধারী তালিবানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা, অধিকার দাবি চার সাহসিনীর

অন্যদিকে, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যেই স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি জারি করেছে তালিবানরা৷ সেখানে ১৫ বছরের উর্ধ্বে মেয়ে ও ৪৫ বছরের নীচে থাকা বিধবা মহিলাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে৷ কারণ এই তালিকা ধরেই তালিবান যোদ্ধাদের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হবে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *