ইসলামাবাদ: দেশের অন্দরে ক্রমাগত বেড়ে চলা ধর্ষণের ঘটনা রুখতে কড়া আইন আনতে চলেছে ইমরান খান সরকার৷ ধর্ষণকারীদের রাসায়নিক ভাবে লিঙ্গচ্ছেদ এবং যৌন নিগ্রহের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির পক্ষে অনুমোদন দিল ইমরান খানের মন্ত্রিসভা৷
আরও পড়ুন- ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার্স টিকটকে, অনলাইন সেনসেশন ১৬-র এই কিশোরী
জিও টিভি রিপোর্ট অনুসারে মঙ্গলবার বসেছিল পাক মন্ত্রিসভার বৈঠক৷ ওই বৈঠকে ধর্ষণ বিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া পেশ করেন আইনমন্ত্রী৷ যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি৷ জানা গিয়েছে, ধর্ষণকারীদের রাসায়নিক ভাবে লিঙ্গচ্ছেদের পাশাপাশি প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও তুলেছেন ক্যাবিনেট সদস্যরা৷ যত শীঘ্র সম্ভব লিঙ্গচ্ছেদ সংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে পেশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন পাক আইন সভার সদস্য ফয়জল জাভেদ৷ এই সংক্রান্ত খসড়ায় পুলিশে বেশি সংখ্যক মহিলা কর্মী নিয়োগ, ফাস্ট ট্র্যা কিং কোর্ট বসিয়ে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি এবং সাক্ষীর নিরাপত্তার বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। ইমরান খান বলেন, ‘‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ এক্ষেত্রে কোনও বিলম্ব বা গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না৷ আমাদের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে৷’’ তিনি আরও জানান, ধর্ষিত মহিলারা নির্ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন৷ তাঁদের সুরক্ষা ও পরিচয় গোপন রাখার দায়িত্ব পুলিশের৷
আরও পড়ুন- ৩৫ থেকে সোজা ২! গেটসকে টপকে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম মাস্ক
পাক ক্যাবিনেটের বেশ কিছু সদস্য ধর্ষণকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার কথা বলেছেন৷ তবে আপাতত রাসায়নিকভাবে লিঙ্গচ্ছেদ করার পক্ষেই পাক সরকার৷ পাকিস্তানে ধর্ষণের ঘটনা আকছাড়৷ সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত৷ ২০১৮ সালে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়৷ এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ৷ ধর্ষণকারীদের কড়া শাস্তির দাবি ওঠে৷ ধর্ষণ রুখতে কঠোর আইন প্রবর্তনের দাবিতে সোচ্চার হয় বিরোধীরাও৷ ২০১৯ এ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল হিন্দু ছাত্রী নম্রতা চান্দানিকে৷ একের পর এক ঘটনায় নড়ে চড়ে বসে পাক প্রশাসন৷ ধর্ষণে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দিতে চলেছে ইমরান সরকার৷