নাক দিয়ে ঢুকে করোনা কাবু করছে মস্তিষ্ককে, গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য

নাক দিয়ে ঢুকে করোনা কাবু করছে মস্তিষ্ককে, গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য

বার্লিন: এখনও করোনার গ্রাসে গোটা বিশ্ব৷ ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় আপামর বিশ্ববাসী৷ এরই মধ্যে ফের আশঙ্কার কথা উঠে এল গবেষণায়৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, নাকের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে করোনা ভাইরাস পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কে৷ এই সমীক্ষাটি করোনা রোগীদের মধ্যে যে স্নায়বিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে, তা নির্ণয়ে সাহায্য করবে৷ এই গবেষণাটি করেছে কারাইট ইউনিভার্সিটিসমিডিজিন বার্লিন৷ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল নেচার নিউরোসায়েন্সে৷ 

আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত মা, শরীরে ভাইরাসের অ্যান্টিবডি নিয়ে জন্মাল সন্তান

গবেষণা বলছে SARS-CoV-2 বা কোভিড ১৯ ভাইরাস শুধুমাত্র মানুষের শ্বাসযন্ত্রকেই আক্রান্ত করে না, ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমও৷ যার জেরে কিছু স্নায়বিক সমস্যা তৈরি হয়৷ যেমন গন্ধ বা স্বাদ চলে যাওয়া, মাথা যন্ত্রণা, ক্লান্তিভাব এবং বমি বমি ভাব৷ পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক গবেষণায় মস্তিষ্ক এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডে RNA ভাইরালের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ নাক দিয়েই এই ভাইরাস মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ছে৷ করোনা সংক্রমণের মৃত ৩৩ জনের নাসোফার্নিক্স পরীক্ষাও করেছিলেন গবেষকরা৷ অর্থাৎ গলার উপর দিকের অংশ যেটি অনুনাসিক গহ্বরের সঙ্গে যুক্ত৷ কী ভাবে বা কতটা পরিমাণ ভাইরাস শরীরের দানা বেঁধেছে তার উপর নির্ভর করে আক্রান্তের শরীরের এই ভাইরাস টিকে থাকবে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এন্ডোথেলিয়াল ও স্নায়বিক কোষের হাত ধরে ভাইরাস মস্তিষ্কে চলে যাচ্ছে এবং প্রভাব বিস্তার করছে৷ শ্বাসযন্ত্র ছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যেও কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে৷ মেডুলা অবলংগাটা সহ একাধিক জায়গায় এটি ছড়িয়ে পড়াতেই বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে৷ 

আরও পড়ুন- ব্রহ্মপুত্রের উপর বিশাল বাঁধ প্রকল্প চিনের, উদ্বেগ ভারত-বাংলাদেশ

চিকিৎসকরা বলছেন, মস্তিষ্কের ভিতরে ক্যাপিলারিতে কিছু বিশেষ কোষ থাকে যা ভয়ঙ্কর সংক্রমণের হাত থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। যার নাম ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার। কিন্তু করোনা ভাইরাস নাসারন্ধ্র দিয়ে ঢুকে পড়ছে মস্তিষ্কে৷ সংক্রামক লিউকোসাইট মস্তিষ্কের এই প্রাচীরকে ভেঙে দিচ্ছে। যার ফলে উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে মস্তিষ্ক।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *