সিঙ্গাপুর: মায়ের শরীর থেকে গর্ভজাত সন্তানের শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে কিনা তা নিয়ে একাধিক তত্ত্ব উঠে এসেছে। কখনও মায়ের গর্ভস্থ সন্তানের ছড়াতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মায়ের থেকে সদ্যোজাতের শরীরের সংক্রমিত হয়েছে করোনা ভাইরাস। এসবের মধ্যে সিঙ্গাপুরের একটি ঘটনা নজির গড়েছে।
এক মহিলা গর্ভাবস্থায় তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। কিন্তু সন্তান প্রসবের পর দেখা গিয়েছে যে সন্তান অ্যান্টিবডি নিয়ে জন্মেছে। সদ্যজাতের শরীরে কী করে অ্যান্টিবডি এল তাই নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় এবং অবাক চিকিৎসামহল। ওই মহিলার নাম এজি চ্যান। গর্ভাবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা যাতে তাঁর গর্ভস্থ শিশুর শরীরে কোনও রকম প্রভাব ফেলতে না পারে তার সমস্ত রকম উদ্যোগ নিয়েছিলেন। চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু সন্তান যখন একেবারে অ্যান্টিবডি নিয়ে জন্মালো তখন চিকিৎসকদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করল যে কোনওভাবে কি ওই সন্তানের শরীরে SARS-CoV-2 ভাইরাসের স্টেন ঢুকেছিল? যদি তা না হয় তাহলে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে কী করে? এই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মায়ের থেকে সন্তানের শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু এমনটা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে মা করোনা আক্রান্ত হলে সন্তানের শরীরে করোনা আসে না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্তান জন্মানোর পর দেখা যায় যে সে করোনা পজিটিভ। কিন্তু সেই ভাইরাস মায়ের শরীর থেকে এসেছে না অন্য সতর্কতার অভাবের কারণে এসেছে তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। ভারতে সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে।
মাসখানেক আগে মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেন এজি। প্রসবের আগের দিন জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। আর সন্তান জন্মের পর দেখা যায় তা নিয়ে জন্মেছে। জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশুর শরীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এছাড়া অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ নিয়ে বলেছে মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। এখনও পর্যন্ত জরায়ু বা মায়ের বুকের দুধে এই ভাইরাসের কোনও স্টেন পাওয়া যায়নি। তবে ব্যতিক্রমী ঘটনাও দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই মায়ের থেকে সন্তানের শরীরে করোনা ঢুকতে পারবে কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট ভাবে এখনও কিছু জানানো সম্ভব হয়নি।