ওয়াশিংটন: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই এই প্রথম আমেরিকা সফর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমই তিনি জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। শুক্রবারই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের দুজনের বৈঠক ব্যাপক সফল হয়েছে বলেই জানিয়েছেন মোদী। তবে শুধু জরুরি আলোচনা নয়, দুই রাষ্ট্র নেতার মধ্যে হাসি-ঠাট্টাও হয়েছে। ‘বাইডেন’ পদবীর লোক ভারতে আছে কিনা প্রসঙ্গে মোদী-বাইডেন মশকরা করেন। এদিকে আবার হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট কক্ষের ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- ভারত সরকারের তহবিলই নয় ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড! স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মোট তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে, কিন্তু তিনবারই ভার্চুয়াল ভাবে। এবার তাঁদের দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ হল সামনা-সামনি। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে মোদী বলেন যে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্ক আগামী দিনে কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সেই ব্যাপারেও মোদী বাইডেনকে বার্তা দেন। জানা গিয়েছে, এই বার্তা খুবই মন দিয়ে শুনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আসলে নরেন্দ্র মোদী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে পাঁচটি ‘টি’তে জোর দিয়েছেন। ঐতিহ্য (Tradition), প্রতিভা (Talent), প্রযুক্তি (Technology), বাণিজ্য ( Trade) এবং বিশ্বাস (Trust)। একই সঙ্গে, তিনি বলেন যে, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়াও করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আগের মতই দুই দেশ একে অপরকে সাহায্য করবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে।
Had an outstanding meeting with @POTUS @JoeBiden. His leadership on critical global issues is commendable. We discussed how India and USA will further scale-up cooperation in different spheres and work together to overcome key challenges like COVID-19 and climate change. pic.twitter.com/nnSVE5OSdL
— Narendra Modi (@narendramodi) September 24, 2021
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নরেন্দ্র মোদীকে জানান, আমেরিকাকে প্রত্যেক দিন আরও শক্তিশালী করে তুলছে ৪০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বাস করেন যে, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক বিশ্বের অনেক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেটা মেনেই তিনি চলেন এবং বিশ্বাস করেন আগামী দিনে এই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।