ভারত সরকারের তহবিলই নয় ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড! স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র

ভারত সরকারের তহবিলই নয় ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড! স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: গত বছর যখন গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল এবং ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি সংকটজনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল তখন কেন্দ্রীয় সরকার ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড গঠন করেছিল। জরুরীকালীন অবস্থায় এই ফান্ডে জমা করা টাকা ব্যবহার করা হবে বলেই জানানো হয়েছিল। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে এই ফান্ড নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে এবং নিশানা করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। এমনকি এই ইস্যুতে আরটিআই পর্যন্ত করা হয়েছিল। এবার কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিল এই ফান্ড আদতে ভারত সরকারের ফান্ড নয়। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের কনসলিডেটেড তহবিলেরও অন্তর্ভুক্ত নয়।

আরও পড়ুন- মোট সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেল ১৫ লক্ষের গণ্ডি, একদিনে সুস্থ ৭৫৪ 

কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই ফান্ড সংক্রান্ত কোনও তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ, এই ফান্ডের টাকা কোথায়, কত ব্যবহার হচ্ছে তা জানা যাবে না, বা সেই বিষয়ে কোনও উত্তর কেন্দ্রীয় সরকার দিতে বাধ্য নয়। প্রসঙ্গত, এই পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে ‘রাজ্যের’ ঘোষণা করা হয়েছিল সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। কীভাবে কেন্দ্রীয় তহবিলকে রাজ্যের ঘোষণা করা হয়, সেই মর্মেই আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। এমনকি সেখানে বলা হয় যে, এই ফান্ডের স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ, কারণ এর ওপর কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই তহবিল একজন অডিটর দেখভাল করে থাকেন৷ যিনি ভারতের কম্পট্রলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার প্যানেলের একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

 

আরও পড়ুন- জল্পনা সত্যি করে অভিষেকের হাত ধরলেন মইনুল, তৃণমূলে যোগ

এর আগে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, পিএম কেয়ারস এমন একটি সংস্থা যার মালিকানা, নিয়ন্ত্রণ এবং গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই ফান্ডের সরকারিভাবে কোনরকম অনুদান দেওয়া হয়নি, যা অনুদান জমা পড়েছে তা ব্যক্তিগত, প্রবাসী ভারতীয় এবং বিদেশী সংস্থা থেকে শুরু করে একাধিক সংগঠনের তরফে। এর পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছিল, তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী এই তহবিল আরটিআই-এর আওতায় পড়বে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 7 =