নিউ ইয়র্ক: নভেল করোনা ভাইরাসের দৌরাত্ম রুখতে বিশ্বজুড়ে চলছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের লড়াই৷ ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে সামিল হয়েছে একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা৷ এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে সিঙ্গেল ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ফেজ থ্রি ট্রালায় শুরু করল ফার্মা জায়েন্ট জনসন অ্যান্ড জনসন৷ আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো এবং পেরুর প্রায় ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগ করা হবে জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা ভ্যাকসিন৷
আরও পড়ুন- ভারত সীমান্তে পোস্টিংয়ের আগেই কেঁদে ভাসল চিন সেনা, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো
এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে জনসেন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলি৷ এদিন সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘জনসন অ্যান্ড জনসন উচ্চ নৈতিক মান এবং বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে৷’’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮০টি স্থানে মানব দেহে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলবে৷ তবে জনসন ছাড়াও বেশ কয়েকটি সংস্থা আমেরিকায় ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মডার্না এবং ফাইজার৷ এই ভ্যাকসিনগুলিরও বিভিন্ন দেশে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে৷
আরও পড়ুন- করোনা মহামারী রোধে ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ অপ্রস্তুত বিশ্ব, ঘোষণা WHO প্রধানের
সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষেই জনসনের ভ্যাকসিনের ফলাফল জানা যাবে৷ এই ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণিত হলে আগামী বছরের শুরুতেই জরুরি অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করবে সংস্থা৷ এমনটাই জানিয়েছেন জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান সায়েন্টিফিক অফিসার পল স্টফেলস৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে নিরাপদ এবং কার্যকরী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির দিকে মনোনিবেশ করব৷’’ একটি সাংবাদিক বৈঠকে স্টফেলস আরও বলেন, ‘‘এই ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ খুবই কার্যকরী হবে বলে আমরা নিশ্চিত৷’’ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় ফেজে ১৮ উর্ধ্ব ৬০ হাজার সুস্থ মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে৷ অন্যান্য ভ্যাক্সিনের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের এই ভ্যাকসিনটি৷ খানিকটা ইবোলা ভ্যাকসিনের আদলে এটি তৈরি করা হয়েছে৷ আমেরিকায় লেট স্টেজ টেস্টিং শুরু করেছে আরও যে তিনটি ভ্যাকসিন, তাদের থেকেও জনসন অনেকটাই আলাদা৷ দুটি নয়, কেমল মাত্র একটি ডোজ দেওয়া হবে জনসনের কোভিড ভ্যাকসিনের৷