বেজিং: ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি বেশ তপ্ত৷ সীমান্তে চিন যতবার আগ্রাসী পদক্ষেপ করেছে, তার মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারত৷ এখন পরিস্থিতি এমনই যে, ভারত-চিন সীমান্তে পোস্টিংয়ের নাম শুনলেই নাকি চোখে জল আসছে পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনাদের৷ সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘বসে’র মতো ক্লাস নিচ্ছেন নবতিপর অধ্যাপক, আবেগে ভাসল নেটিজেনরা
গত সপ্তাহে পূর্ব চিনের আনহুই প্রদেশের একটি স্থানীয় সংবাদপত্র ফুইয়াং সিটি উইকলির উইচ্যাট পেজে ভিডিয়োটিতে পোস্ট করা হয়৷ অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে একটি বাসের ভিতরে চিনের কিছু তরুণ সেনা সে দেশের সামরিক বাহিনীর একটি জনপ্রিয় গান ‘‘গ্রিন ফ্লাওয়ার্স ইন দা আর্মি’ গানটি গাইছে৷ তাঁরা সকলেই ছিল আবেগে বিহ্বল৷ তাঁদের চোখে ছিল জল৷
তাইওয়ান নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, আনহুই প্রদেশের ইংঝাও জেলা থেকে ১০ জন যুবককে পিএলএ-তে নিয়োগ করা হয়েছে৷ তাঁরা সকলেই কলেজ ছাত্র৷ তাঁদের মধ্যে পাঁচজন স্বেচ্ছায় তিব্বতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল৷ তাঁদের হুয়াই প্রদেশের সামরিক শিবিরে নিয়ে যাওয়ার সময় ফুইয়াং রেল স্টেশনে এই ভিডিয়োটি তোলা হয়৷ বাসে ওঠার পরই নাকি তাঁরা জানতে পারে, তাঁদের লাদাখ সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে৷ গত জুন মাসে লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকাতেই রক্ত ঝরেছিল৷ প্রভূত ক্ষতি হয়েছিল চিনের৷ তবে কিছুক্ষণের মধ্যেও এই পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়৷
আরও পড়ুন- করোনা মহামারী রোধে ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ অপ্রস্তুত বিশ্ব, ঘোষণা WHO প্রধানের
এদিকে চিন সেনার চোখে জল দেখার পরই স্বাধীনতাপন্থী এবং চিন বিরোধী বলে পরিচিত তাইওয়ানের গণমাধ্যম লিবার্টি টাইমস এবং তাইওয়ান নিউজ তাঁদের রীতিমতো বিদ্রুপ করে৷ উত্তেজনার মাঝে সীমান্তে মোতায়েনের জন্যই তাঁদের চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ ফুটে উঠেছে বলেও কটাক্ষ করে তারা৷ গত রবিবার টুইটারে ওই ভিডিওটি পোস্ট করেন পাকিস্তানি কৌতুক অভিনেতা জায়েদ হামিদ। হামিদ মজা করে বলেছেন, চিনের ওয়ান চাইল্ড নীতি ‘চিনা ভাইদের’ অনুপ্রেরণার মারাত্মক ক্ষতি করেছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানিরা চিনকে সমর্থন করে, সাহস বজায় রাখুন৷