ওয়াশিংটন: মায়ানমারে আকস্মিক সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। গত ১ ফেব্রুয়ারি বার্মা মুলুকে যে সেনা শাসন জারি করা হয়েছে তার জেরে পথে নেমেছেন লক্ষ লক্ষ মায়ানমারবাসী। অবিলম্বে স্টেট কাউন্সেলর (প্রধানমন্ত্রী) আন সান সুকির মুক্তি এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। মায়ানবাসী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে একাধিক দেশ। সে বিষয়েই এবার নিজেদের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিল আমেরিকা সরকারও।
আরও পড়ুন- দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে তীব্র ভূমিকম্প, জারি সুমানি সতর্কতা
এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে সমস্ত রকম অসহযোগিতার করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাইডেন প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, “আজ আমি মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের প্রধানদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করছি। আমেরিকায় বার্মা সরকারের জন্য যে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড বরাদ্দ রয়েছে তা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো বলেন, “আমরা মায়ানমারে রপ্তানি ব্যবস্থাও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো। যে সমস্ত আমেরিকান পণ্য সম্পদে বার্মা সরকার সুবিধা পেয়ে থাকে সেগুলো আমরা সম্পূর্ণ বন্ধ করছি।” তবে যে স্বাস্থ্য সংস্থা, সামাজিক দল প্রভৃতি সরাসরি বার্মার মানুষের জন্য কজ করে, তাঁদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আরও পড়ুন- নিলামে উঠল হিটলারের টয়লেট সিট! কত দাম উঠল জানেন?
বার্মার সেনা প্রধানদের উদ্দেশ্যে এদিন আরো একবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নেতাদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আন সান সু কি ছাড়াও মায়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টকে বন্দী করেছে সেনারা। বাইডেন বলেছেন, “সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা ছাড়তেই হব।” উল্লেখ্য, মায়ানমারে গণতন্ত্রের এই বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডও। ওই দেশের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা বলেছেন নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী।