সিডনি: মধ্যরাতে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৭৷ এর পরেই জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা৷
আরও পড়ুন- নিলামে উঠল হিটলারের টয়লেট সিট! কত দাম উঠল জানেন?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে ৩৪০ মাইল দূরে লর্ড হো দ্বীপে প্রবল সুনামি আছড়ে পড়তে পারে৷ অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড, নিউ ক্যালেডোনিয়া, ভানুয়াতুর মতো দ্বীপগুলিতেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ উত্তর উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের সমুদ্রতীরে যেতে নিষেধ করেছে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর৷ সমুদ্রের তীব্র স্রোত ও প্রবল ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে৷
নিউ ক্যালেডোনিয়ার পূর্ব প্রান্তে ভাও থেকে ৪১৫ কিমি দূরে সমুদ্রের ১০ কিমি গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানাচ্ছে, এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে। ফিজি, নিউজিল্যান্ড ও ভানুয়াতুতে প্রায় ০.৩ মিটার থেকে এক মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ উঠতে পারে৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে নিউজিল্যান্ডের উত্তর ও পূর্ব উপকূল, অকল্যান্ডের পূর্বপ্রান্তের দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার আইল্যান্ডকে৷ তবে অস্ট্রেলিয়া, দ্য কুক আইল্যান্ডস ও আমেরিকান সামোয়াতে ঢেউয়ের উচ্চতা কিছুটা কম থাকবে বলে জানানে হয়েছে৷
আরও পড়ুন- চিনের কার্যকলাপে ‘উদ্বিগ্ন’ আমেরিকা! সীমান্ত দ্বন্দ্বে ভারতের পাশেই দাঁড়াল বাইডেন প্রশাসন
এই ভূমিকম্পের জেরে তেমন ভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর না মিললেও সুনামি আছড়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে৷ প্রশান্ত মহাসাগরে রিং অফ ফায়ারে টেকটনিক পাতের ধাক্কাতেই একাধিক বার ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাতের মতো ঘটনা ঘটেছে। এটিও তেমনই প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৮ সালেরই ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া৷ চার হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান৷
এর আগে ভারতীয় উপ মহাদেশে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল সুনামি৷ ভারতের বিভিন্ন অংশে তার প্রভাব পড়েছিল৷ তছনছ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা৷ সুনামির ধাক্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিল শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি৷ সেই ক্ষত সারিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগে গিয়েছে৷