ওয়াশিংটন: ‘‘ভারতের বাতাসেই রয়েছে নোংরা৷ চিনকে দেখুন কী নোংরা দেশ৷ রাশিয়ার বাতাসও কেমন নোংরা, দূষিত৷’’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে এমনটাই বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এদিনের বিতর্কের বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসা৷ ট্রাম্পের এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠে গেল প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্য নিয়েও৷
আরও পড়ুন- কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আসছে করোনার ভ্যাকসিন, প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে ঘোষণা ট্রাম্পের
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করতে দিল্লি সফরে এসেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার৷ তাঁদের দিল্লি সফরের ঠিক পরেই ভারতের সম্পর্কে এহেন মন্তব্য করলেন ট্রাম্প৷ খোঁচা দেন বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধে ভারতের ভূমিকা নিয়েও৷ এছাড়াও প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে বিডেনের জলবায়ু পরিকল্পনাটি টেক্সাস এবং ওকলাহোমের মতো তেল রাজ্যের জন্য ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তাঁর কথায়, আমেরিকার বাতাস সবথেকে শুদ্ধ৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারত, চিন আর রাশিয়ার৷
এর আগে ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ট্রাম্প৷ ভারতে করোনায় মৃতের সঠিক সংখ্যাটা কত, তা নিয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি৷ সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকা৷ মৃত্যু হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের৷ আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেনের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আপনার কোনও ধারণাই নেই যে চিনে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ আপনি এটাও জানেন না যে ভারতে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ কারণ কেউ সঠিক তথ্যই দেয় না৷’’
আরও পড়ুুন- পড়ুয়ারা মিস করছে স্কুলের পরিবেশ! খুদেদের মন ভালো রাখতে রাস্তায় শুরু হল ক্লাস
প্যারিস চুক্তি প্রসঙ্গে এদিন ট্রাম্প বলেন, ‘‘প্যারিস চুক্তি রক্ষা করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ চাকরি, হাজার হাজার সংস্থাকে ছাড়তে পারব না।’’ তাঁর অভিযোগ, ভারত ও চিনের কলকারখানাগুলি দূষণ ছড়ালেও সেগুলি বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না৷ অথচ পরিবেশ রক্ষার অজুহাতে আমেরিকাকে চাপে ফেলার চেষ্টা চলছে। ট্রাম্পের মুখে ভারত প্রসঙ্গে এ হেন মন্তব্যের পরই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিরোধীরা৷ তাঁরা বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বের ফল এটাই৷