পড়ুয়ারা মিস করছে স্কুলের পরিবেশ! খুদেদের মন ভালো রাখতে রাস্তায় শুরু হল ক্লাস

ন্যাপলেস: করোনা অতিমারির জেরে লকডাউন৷ আর সেই লকডাউনের জেরে বিশ্বের নানা দেশে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ৷ অনলাইনে চলছে ক্লাস৷ তবে ইতালির দাক্ষিণাত্যে ক্যাম্পানিয়ায় দেখা গেল এক অন্য দৃশ্য৷ রাস্তায় বসে ক্লাস করছে খুদে পড়ুয়ারা৷ তাদের মনোযোগ সহকারে পড়াচ্ছেন এক শিক্ষিকা৷ এমন চিত্র ভারতেও দেখা গিয়েছে৷ দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদেরকে রাস্তায় সামাজিক দুরত্ব মেনে পড়াতে দেখা গিয়েছে বেঙ্গালুরুর শান্থাপ্পাকে৷ তবে সেসব পড়ুয়ারা অসহায় দরিদ্র হওয়ায় তাদের স্মার্ট ফোন কেনার ক্ষমতা নেই৷ তাই তাদের শিক্ষাদানে এগিয়ে আসেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার৷ তবে ক্যাম্পানিয়ার গল্পটি সম্পূর্ণ আলাদা৷ সামাজীক দুরত্ব মেনেই সেখানকার শিক্ষিক শিক্ষিকারা রাস্তায় পড়ুয়াদের পড়াশোনা করাচ্ছে৷ 

ন্যাপলেস: করোনা অতিমারির জেরে লকডাউন৷ আর সেই লকডাউনের জেরে বিশ্বের নানা দেশে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ৷ অনলাইনে চলছে ক্লাস৷ তবে ইতালির দাক্ষিণাত্যে ক্যাম্পানিয়ায় দেখা গেল এক অন্য দৃশ্য৷ রাস্তায় বসে ক্লাস করছে খুদে পড়ুয়ারা৷ তাদের মনোযোগ সহকারে পড়াচ্ছেন এক শিক্ষিকা৷ এমন চিত্র ভারতেও দেখা গিয়েছে৷ দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদেরকে রাস্তায় সামাজিক দুরত্ব মেনে পড়াতে দেখা গিয়েছে বেঙ্গালুরুর শান্থাপ্পাকে৷ তবে সেসব পড়ুয়ারা অসহায় দরিদ্র হওয়ায় তাদের স্মার্ট ফোন কেনার ক্ষমতা নেই৷ তাই তাদের শিক্ষাদানে এগিয়ে আসেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার৷ তবে ক্যাম্পানিয়ার গল্পটি সম্পূর্ণ আলাদা৷ সামাজীক দুরত্ব মেনেই সেখানকার শিক্ষিক শিক্ষিকারা রাস্তায় পড়ুয়াদের পড়াশোনা করাচ্ছে৷ 

কিন্তু কেন? এই পড়ুয়াদের কাছে স্মার্ট ফোন নেই? সেই উত্তরই জানিয়েছেন এক শিক্ষিকা৷ এক শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, এক পড়ুয়ার মা তাকে ফোন করেছিল এবং ওই অভিভাবক জানান যে তার সন্তান স্কুলে না যেতে পেরে অনবরত কেঁদেই চলেছে৷ তার পরিবার কিছুতেই তাকে করোনা ভাইরাসের ভয়বহতার কথা বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে না৷ পড়ুয়ারা তাদের স্কুলকে রীতিমত মিস করছে৷ সেজন্যই এই উদ্যোগ নেন শিক্ষক শিক্ষিকারা৷ খোলামেলায় পড়ুয়াদের ডেকে পড়াতে শুরু করেন তারা৷ একইসঙ্গে তারা খুদে পড়ুয়াদের মধ্যে বজায় রাখে সামাজীক দুরত্বও৷ এক শিক্ষক জানিয়েছেন, ইতালির পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর৷ এই অবস্থায় সবধরণের স্বাস্থ্যবিধিকে আমরা সম্মান করছি ও তা মেনে চলছি৷ 

যদিও ইতালি সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে৷ লমবার্ডির মিলানে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ শিক্ষক শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, আমরা একটা এমন উপায় বের করতে চেয়েছি যেখানে খুদে পড়ুয়ারা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবে এবং স্কুলের মতো পরিবেশও তারা পাবে৷ যার ফলে তাদের মনের ওপর কোনও চাপ পড়বে না৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *