করোনা চিকিৎসায় পথ দেখিয়ে পুরষ্কৃত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোরী

করোনা চিকিৎসায় পথ দেখিয়ে পুরষ্কৃত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোরী

নিউ ইয়র্ক: করোনা পরিস্থিতিতে কবে হাতে আসবে ভ্যাকসিন? তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ববাসী৷ তামাম দুনিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ব্যস্ত তখন করোনা চিকিৎসায় নতুন দিশা দেখাল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন কিশোরী৷ তার গবেষণা করোনা বিরোধী লড়াইয়ে নতুন দিশা দেখাবে বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত৷ 

আরও পড়ুন- সরকারের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতার মাশুল, গ্রেফতার নওয়াজ-কন্যা মরিয়ামের স্বামী

১৪ বছরের ওই কিশোরীর নাম অনিকা শেব্রোলু৷ আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা সে৷ করোনা আক্রান্তদের জন্য অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি খুঁজে বার করেছেন এই খুদে বিজ্ঞানী৷ সে এমন একটি অণু আবিষ্কার করেছে, যা কোভিড সৃষ্টিকারী প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। এর আগেও গবেষণার কাজ করেছে অনিকা৷ কম্পিউটার প্রোগ্রামকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করা যায়, তা নিয়েই ছিল অনিকার গবেষণা৷ অনিকা বলেন, ‘‘আমি এমন একটি অণু তৈরি করেছি যা SARS-CoV-2 ভাইরাসের নির্দিষ্ট প্রোটিনকে বাঁধতে পারে৷’’ অনিকা জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস এবং এর ওষুধ তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করেছে সে৷ এর জন্য বিরাট অঙ্কের পুরস্কারও জিতে নিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কিশোরী৷ 

আমেরিকা কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়৷ নিজের গবেষণার জন্য এই বছর ২৫ হাজার ডলার পুরস্কার পেয়েছে অনিকা৷ যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা৷ পুরস্কার জেতার পর অনিকা বলেন, ‘‘দারুণ লাগছে৷ আমি অত্যন্ত আনন্দিত৷’’ তবে তাঁর এই গবেষণার লাইভ মডেলে টেস্ট করা হয়নি। ফলে সাফল্য সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়৷ 

আরও পড়ুন- ভারত, রাশিয়া ও চিনই বাড়াচ্ছে বায়ুদূষণ! তোপ মার্কিন প্রেসিডেন্টের

অনিকা জানায়, ছোট থেকে তাঁর দাদুই তাঁকে উৎসাহিত করেছে বিজ্ঞানে৷  তিনি নিজে একজন রসায়নের অধ্যাপক ছিলেন৷ এরজন্যই বিজ্ঞানের প্রতি তার ভালবাসা বেড়েছে৷ বড় হয়ে মেডিক্যাল গবেষক হতে চায় বলেও জানিয়েছে সে। ১৯১৮-র মহামারি বিষয়ে পড়ার পরই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস নিয়ে গবেষণায় আগ্রহ জন্মায় তার৷ একাধিক প্রতিষেধক এবং ওষুধ বাজারে থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর আমেরিকায় বহু মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা যান। এই বিষয়টিও তাঁকে নাড়া দিয়েছিল৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *