কাবুল: তালিবান নতুন করে কাবুল দখল করতেই ফিরেছে পুরনো স্মৃতি৷ কেড়ে নেওয়া হয়েছে মহিলাদের অধিকার৷ তাঁদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা৷ প্রতিবাদে সামিল হয়েছে আফগান নারীরা৷ আফগান সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে নিন্দার ঝড় উঠেছে মুসলিম বিশ্বেও। দেওয়ালে পিঠ ঠেকতেই গর্জে উঠলেন এক আফগান মহিলা। সুর চড়িয়ে বললেন, উচ্চশিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেয়ে মুণ্ডচ্ছেদ ভালো৷ তাঁর কথায়, সে মুলুকে মহিলাদের সঙ্গে জন্তুদের থেকেও খারাপ আচরণ করা হয়।
আরও পড়ুন- ফুঁসছে চিন! আরও একটা যুদ্ধ? তাইওয়ানের পথে ৭১টি যুদ্ধবিমান, ৭টি জাহাজ পাঠাল বেজিং
গত বছর অগাস্ট মাসে আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরই সেদেশে ফেরে তালিবান রাজ। প্রথমে মুখোশের আড়ালে নিজেদের বদলে যাওয়া রূপ বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছিল তালিবরা৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসে বিষাক্ত দাঁত-নখ৷ সে দেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী নেডা মহম্মদ নাদিম ঘোষণা করেছেন, স্কুলে ছাত্রীদের সুনির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরে আসতে হবে। স্কুল ক্যাম্পাসে তাঁদের সঙ্গে সবসময় একজন পুরুষকে থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ফতোয়া জারি করে মহিলাদের জন্য উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ করে দেয় তালিবান প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে তাঁদের সাফাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষ ও মহিলাদের একসঙ্গে পড়াশোনা আটকাতে এই পদক্ষেপ। তাঁদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কয়েকটি বিষয় পড়ানো হয়, যেগুলি ইসলাম বিরোধী।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আফগানিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন মারওয়া নামে এক ছাত্রী। আর কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হত তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ৷ তেমনটা হলে তিনিই হতেন পরিবারের প্রথম উচ্চশিক্ষিত মহিলা। কিন্তু তালিবানের রক্তচক্ষুতে ভেঙে চুরমার তাঁর স্বপ্ন। গর্জে উঠেছেন মারওয়াও৷ তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার বদলে মুণ্ডচ্ছেদের নিদান দিলে অনেক ভালো হতো। আমরা এতটাই দুর্ভাগা, যে এদেশে জন্মেছি। আমার এই পৃথিবীর আলো দেখাটাই উচিত ছিল না। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই এখন আমার কাছে দায়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>