‘যন্ত্রণাহীন’ মৃত্যু! আত্মহত্যার যন্ত্রের বৈধতা অন্য দেশেও চাইছেন ‘ডক্টর ডেথ’

‘যন্ত্রণাহীন’ মৃত্যু! আত্মহত্যার যন্ত্রের বৈধতা অন্য দেশেও চাইছেন ‘ডক্টর ডেথ’

fc54a41f18e7338eddf07f11462b4fa4

গ্লাসগো: শুনতে অবাক লাগলেও এটাই খবর যে, বেশি কিছু সময় আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে আত্মহত্যা করার যন্ত্র। সুইজারল্যান্ড এই আত্মহত্যা করার যন্ত্রকে বৈধ বলেও জানিয়েছে এবং সেদেশে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে তার ব্যবহারও হচ্ছে। এবার নতুন এক দেশে এই যন্ত্র স্বীকৃতি পাক এমনটাই চাইছেন যন্ত্রের নির্মাতা ফিলিপ নিটশে। তিনি চান, স্কটল্যান্ডে এই যন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া হোক। এই নিয়ে এখন বিশ্বের একাংশ তোলপাড়। আদৌ কি এই যন্ত্রের বৈধতা থাকা উচিত, তর্ক চলছে।

আরও পড়ুন- স্নান থেকে সঙ্গম, সবটাই একসঙ্গে, এ বার একই পুরুষের সন্তানের মা হতে মরিয়া যমজ বোন

p

আত্মহত্যা করার এই যন্ত্রের নাম ‘সার্কো’। এই যন্ত্রের ভিতর প্রবেশ করলে ১০ মিনিটেই মৃত্যু। থাকবে না কোনও মৃত্যুযন্ত্রণা। যন্ত্রের নির্মাণকারী সংস্থার প্রধান ফিলিপ নিটশে যাকে ‘ডক্টর ডেথ’ বলা হয় তাঁর বক্তব্য, এই যন্ত্র অনুমোদন পাক স্কটল্যান্ডেও। এই নিয়ে প্রচারও চালাচ্ছেন তিনি। তাঁর দাবি, এতে উপকার হবে সেই সব মানুষের, যাঁরা মরতে চান কিন্তু যন্ত্রণার ভয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। নিটশের এমনও দাবি যে, সব জায়গায় এই রকম মানুষের সংখ্যা অনেক আছে, তবে তারা ভয়ের কারণে হোক বা অন্য কিছুর জন্য সামনে কিছু বলতে পারেন না। তাই এই যন্ত্র তাদের ‘আশা’ পূরণ করবে।

আরও পড়ুন- প্রথমবার মুখোমুখি সাক্ষাৎ মোদী-সুনাকের, কী কথা হল 

75c518a57c691438c91823ee710f2dfe

ইতিমধ্যেই স্কটল্যান্ড সরকারের উচ্চতর আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন নিটশে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক এমপি লিয়াম ম্যাকআর্থার আত্মহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য বিল আনার পক্ষে সওয়াল করছেন। তবে বামপন্থীরা স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে আনা এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। তাদের দাবি, দেশের সাধারণ মানুষ এতে ‘আতঙ্কিত’ হয়ে পড়বেন। কেউ কেউ খুন করার জন্য এই যন্ত্র ব্যবহার করতেই পারেন। যদিও যুক্তি মানতে চাননি ‘ডক্টর ডেথ’। তাঁর বক্তব্য, যন্ত্রটির ভিতরে না ঢুকলে একে সক্রিয় করা যাবে না। ভিতরে থাকা বোতাম চাপলে তবেই কাজ হবে। আবার কোনও ব্যক্তি আচমকা মন বদলালে চাপতে হবে আপৎকালীন বোতাম, যা ভিতরেই আছে। তাতে থেমে যাবে মৃত্যু প্রক্রিয়া।

আসলে এই যন্ত্রে একজন শোওয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। যিনি আত্মহত্যা করবেন তার মৃত্যুর কারণ হবে ‘হাইপোক্সিয়া’ ও ‘হাইপোক্যাপনিয়া’। বিষাক্ত গ্যাস অক্সিজেন মাত্রা কম করে দেবে ফলে মৃত্যু ঘটবে। এমনকি যন্ত্রের ভেতর থেকেও এটি ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র চোখের পলক নাড়ালেই। পুরো যন্ত্রটি একটি বিচিত্র কফিনের মতো দেখতে, বলা যেতে পারে এটি একটি বিশাল বড় ক্যাপসুল।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *