নিউ ইয়র্ক: অবেশেষে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আশার বাণী শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ চলতি বছরের শেষেই করোনার প্রতিষেধক চলে আসবে বলে আশাবাদী হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস৷ করোনা প্যান্ডেমিক নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে ডিরেক্টর জেনারেল বলেন,‘‘ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন ভ্যাকসিন। আমরা আশা করছি, চলতি বছরের শেষেই আমাদের হাতে নিরাপদ এবং উপযোগী ভ্যাকসিন চলে আসবে।”
আরও পড়ুন- হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প, মাস্ক সরিয়ে বললেন, ‘করোনাকে ভয় পাবেন না’
গোটা বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিন যাতে সমান ভাবে পৌঁছে যায়, তার জন্য রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে সংহতি এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ঘেব্রিয়েসুস৷ তিনি বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে৷’’ সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে WHO এবং GAVI মিলিতভাবে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে৷ যার নাম COVAX৷ বিশ্বের একাধিক দেশে এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়েছে৷ বর্তমানে ৯টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে COVAX৷ এগুলির মধ্যে কোন ভ্যাকসিনটি এ বছর আসতে চলেছে সে সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানাননি হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস৷ ইতিমধ্যে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেন, কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে এবং তা যথাযথভাবে বণ্টন করা হলে বিশ্বের ধনী দেশগুলি ২০২১ সালের শেষের দিকে প্রায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবে৷ তবে তাঁর কথায়, আমরা এখনও জানি না ভ্যাকসিনগুলি কতটা কার্যকর হবে৷
আরও পড়ুন- হেপাটাইিস সি ভাইরাস আবিষ্কার, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে রাশিয়া৷ খুব শীঘ্রই ভ্যাকসিন আনতে চলেছে চিন৷ আমেরিকাও সমান তালে ভ্যাকসিন তৈরির পথে এগোচ্ছে৷ মার্কিন সংস্থা মডার্না এবং ফাইজারও ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে৷ নভেম্বরের শুরুতেই ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে এতদিন ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও আশা দেখায়নি হু৷ রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়েও তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷ এই প্রথম ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷