নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করেছে চিনা নজরদারি জাহাজ৷ এরই মধ্যে ভারতকে চাপে ফেলতে নয়া ছক কষল শি জিনপিং-এর দেশ৷ পাকিস্তানে সেনা মোতায়েন করতে চলেছে বেজিং৷
আরও পড়ুন- কোনও দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না, নজরদারি জাহাজ নিয়ে সাফাই চিনের
জঙ্গি হামলায় জেরবার পাকিস্তানে সেনা মোতায়েনের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই ইসলামাবাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল বেজিং৷ সূত্রের খবর, লালফৌজকে নাকি পাকিস্তানে আসার অনুমতি দিয়েছে রাওলপিন্ডির সেনা হেড কোয়ার্টার৷ শুধু তাই নয়, পিএলএ-কে পাকিস্তানের মাটিতে সেনা চৌকি তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে৷
পাকিস্তানের ঠিক কোথায় সেনা মোতায়েন করবে বেজিং? সূত্রের খবর, মূলত পাক-আফগান সীমান্তে নিযুক্ত করা হবে লালফৌজকে৷ ইতিমধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত নং রং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো এবং পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াও৷ সেখানেই ঠিক হয়, পাকিস্তানের মাটিতে চিন সেনা মোতায়েনের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি বালুচিস্তানের গদর বন্দর ও বিমানবন্দরে সেনা ও ফাইটার জেট মোতায়েনের জন্যেও পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে চিন৷ যদিও এই বিষয়ে এখনও ইসলামাবাদের তরফে স্পষ্ট কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি৷
উল্লেখ্য, চিনের শিনজিয়ান প্রদেশ থেকে সরাসরি পাক অধিকৃত কাশ্মীর হয়ে বালুচিস্তানের গদর বন্দর পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করছে বেজিং। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি-র প্রকল্পে এই কাজ শুরু হলেও, জঙ্গি হামলার জেরে তা থমকে রয়েছে। অন্যদিকে পাক-আফগান সীমান্তেও ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, সিপিইসি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতেই পাকিস্তানে সেনা মোতায়েন করতে তৎপর চিন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>