ওয়াশিংটন: মার্কিন সেনেট থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে ইমপিচড করা হয়নি। গতকাল মুক্তির পর কার্যত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দিয়েছেন হার না মানার বার্তাও। ট্রাম্পের এই মুক্তি প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আরও পড়ুন- ‘শতাব্দীর বৃহত্তম ডাইনি শিকার’, সেনেট থেকে মুক্তি পেয়ে বললেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট বিচারে মুক্তি গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায় গুলির মধ্যে অন্যতম, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন জো বাইডেন। শনিবার আমেরিকান সেনেটে প্রাক্তন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের মুক্তির পর সংবাদমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। দোষী সাব্যস্ত না হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপরাধ সম্পর্কে যে কোনো দ্বিমত বা সন্দেহ নেই, এদিন সে কথাও নিশ্চিত করে বলেছেন জো বাইডেন।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প ইমপিচমেন্টে ছাড় পাওয়ায় রীতিমতো হতাশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বস্তুত মার্কিন সেনেটে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট। কিন্তু বিচারে ১০০ জনের মধ্যে ৫৭ জন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বাকি ৪৩ জনই মনে করেন তিনি নির্দোষ। ফলে মুক্তি পান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। এদিন বাইডেন বলেন, “চূড়ান্ত ভোটে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হননি।কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্বন্ধে কোনও সন্দেহ নেই। এটি আমাদের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়। এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে যে গণতন্ত্র ভঙ্গুর। একে রক্ষা করা আবশ্যক।”
আরও পড়ুন- রহস্য-সম্ভাবনার গ্রহ ‘মঙ্গল’! রহস্যের সন্ধানে ৬১ বছরের গবেষণা!
এখানেই শেষ নয়, ট্রাম্পের মুক্তি প্রসঙ্গে এদিন বাইডেন আরও বলেন, “চরমপন্থা আর হিংসার কোনো স্থান আমেরিকায় নেই। আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত নেতা হিসেবে আমাদের সত্যকে রক্ষা ও মিথ্যাকে পরাজিত করতেই হবে।” উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন চলাকালীন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ট্রাম্প সমর্থক হিসেবেই চিহ্নিত হন তাঁরা। নিজের সমর্থকদের হিংসায় প্ররোচিত করার দোষে অভিযুক্ত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের কর্মক্ষমতার মেয়াদে পরপর দু’বার ইমপিচড হন তিনি।