‘শতাব্দীর বৃহত্তম ডাইনি শিকার’, সেনেট থেকে মুক্তি পেয়ে বললেন ট্রাম্প

‘শতাব্দীর বৃহত্তম ডাইনি শিকার’, সেনেট থেকে মুক্তি পেয়ে বললেন ট্রাম্প

ওয়াশিংটন: অবশেষে বিচারে মুক্তি পেলেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যাপিটল হামলায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তাঁকে ইমপিচ করা হয়েছিল গত মাসেই। শনিবার মার্কিন সেনেটের বিচারে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। আর মুক্তির পরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এক হাত নিয়েছেন বিরোধী শিবিরকে।

এদিনের রায়ের পর বিচার নিয়ে উৎফুল্ল প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তাঁর দ্বিতীয় ইমপিচমেন্টের ট্রায়ালকে “ডাইনি শিকার” বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর কথায়, “আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় ডাইনি শিকারের ঘটনা।” ট্রায়াল চলাকালীন বেশ কিছু রিপাবলিকান সমর্থক প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করেছিলেন বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এদিনের ট্রায়ালে ৫০ জন ডেমোক্রাট সদস্যের পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতা করেন ৭ জন রিপাবলিকানও। সকলেই তাঁর শাস্তির পক্ষে ভোট দেন। কিন্তু তৎসত্ত্বেও সেনেট থেকে ট্রাম্পকে মুক্তি দেওয়া হয়। বস্তুত, ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট মার্কিন বিচারসভা বা সেনেটে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে ডেমোক্রাট দলের প্রয়োজন ছিল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কিন্তু সেনেটে ভোট আসে ৫৭-৪৩ ভিত্তিতে। ফলে মুক্তি পান ট্রাম্প। এদিন মুক্তির পর নিজের আইনি সহায়তাকারী দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন তিনি সবসময় চ্যাম্পিয়ন ছিলেন আছেন আর থাকবেনও।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ ফুরোতে যখন আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, তখন মার্কিন কংগ্রেস ভবন বা ক্যাপিটলে সমস্ত রকম প্রশাসনিক তৎপরতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হামলা চালান একদল দুষ্কৃতী। তাঁদের ট্রাম্প সমর্থক হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। গণ নির্বাচনে বিজেতা জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদ প্রাপ্তির বিরোধিতা করাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। এই হামলাকে প্ররোচিত করার অভিযোগ ওঠে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজির হিসেবে দ্বিতীয় বারের জন্য ইমপিচড হন ট্রাম্প।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *