সিত্রাং বিদায়ে ফের অশনি সঙ্কেত! আসছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়, সতর্ক করল আবহাওয়া দফতর

সিত্রাং বিদায়ে ফের অশনি সঙ্কেত! আসছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়, সতর্ক করল আবহাওয়া দফতর

ঢাকা: বাংলাদেশে তাণ্ডব চালিয়ে সদ্যই বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং৷ প্রলয় ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা এখনও পুরোপুরি নির্ধারণ করে উঠতে পারেনি ঢাকা। সিত্রাং-এর ক্ষত শুকনোর আগেই ফের অশনি সঙ্কেত৷ সমুদ্রের বুকে মাথাচাড়া দেবে আরও এক দানব ঘূর্ণি৷ নতুন নাম নিয়ে আছড়ে পড়বে উপকূলে৷ সিত্রাং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের হুঁশিয়ারি দিল সে দেশের আবহাওয়া দফতর। 

আরও পড়ুন- বিপর্যস্ত ঢাকা, ঘূর্ণিঝড়ের হানায় টালমাটাল পড়শি দেশের রাজধানী

ফের ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিত্রাং আসার আগেও সতর্কতা জারি করেছিল ওপাড় বাংলার আবহাওয়া দফতর৷ সে পূর্বাভাস মিলে গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে৷ বাংলাদেশের উপর আঘাত হেনেছে সিত্রাং৷  তবে তা ভারতের কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে৷ এর কোনও প্রভাব এ রাজ্যে পড়েনি৷ আগামী ডিসেম্বর মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে আগাম সতর্ক করে দিলেন বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান৷ 

আবহাওয়া দফতরের হুঁশিয়ারির কথা জানিয়েছেন সে দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মহম্মদ এনামুর রহমানও। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, সুষ্ঠ ভাবে ঝড় মোকাবিলা করার জন্য সোমবার রাত ১টা ১০ মিনিটে তাঁকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, ডিসেম্বরে সম্ভাব্য যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে চলেছে, সে বিষয়ে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

সোমবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ঘেষে বাংলাদেশ উপকূলে ঢুকে পড়ে অতি শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং৷ ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার তিনটি বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার জনজীবন৷ মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৩ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷ 

এদিকে সিত্রাং-এর ধাক্কায় বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি৷ নষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রচুর ফসল।  লন্ডভন্ড চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল৷ সোমবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে বরিশালের কাছে তিনকোনা ও সন্দ্বীপের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঝড়ের পূর্বাভাস মেনে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছিল বাংলাদেশ৷ সে দেশের ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছিল৷ প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

এর আগেও একাধিকবার ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ঘায়েল হয়েছে বাংলাদেশ৷ প্রকৃতির তাণ্ডবে গত চার বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে সে দেশে। এই পরিস্থিতিতে বছর শেষে যদি ফের ঘূর্ণিঝড় হানা দেয়, তাহলে পদ্মাপারের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা৷ সেই ঝড়ের প্রভাব এপাড় বাংলায় কতটা পড়বে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়৷