ঢাকা: বাংলায় আংশিক প্রভাব ফেলার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বঙ্গে সেইভাবে কোনও প্রভাব ফেলেনি। বরং বলতে গেলে ১০০ শতাংশ হানা দিয়েছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে। আগেই আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল, সোমবার মাঝরাতে বরিশালের কাছে তিনকোনা এবং সন্দ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়, ঠিক সেটাই হয়েছে। তবে যে সমস্ত জায়গায় প্রভাব ফেলার কথা ছিল, সেইসব জায়গা ছাড়াও এই ঝড় অন্য জায়গায় ক্ষতি করেছে। যেমন দেশের রাজধানী ঢাকা।
আরও পড়ুন- ব্রিটিশরা শাসন করেছিল ভারত, এবার ব্রিটেনের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত
বাংলাদেশের ছয় জেলায় ব্যাপক ক্ষতি করেছে ‘সিত্রাং’। ইতিমধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ওদিকে, রাজধানী ঢাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। তাকে পূর্ণ সঙ্গত দিয়েছে অতিভারী বর্ষণ। বিক্ষিপ্ত জায়গায় জল জমে যাওয়া, নিচু ঘর-বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক এলাকায় রাস্তা ভেসে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। কোথাও গাছ চাপা পড়ে, কোথাও জমা জলে আটকে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঝড়ের কারণে এদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে খুব দ্রুত রাস্তা সাফাইয়ের কাজও শুরু হয়ে যায়।
বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ সোমবার সন্ধ্যায় এবং মূল কেন্দ্রটি রাতের দিকে উপকূলে আঘাত করে। সিত্রাং-এর কেন্দ্রটি ভোলার উপর দিয়ে গিয়েছে। কুমিল্লায় ৩ জন, ভোলায় ২ জন, নড়াইলে ১ জন, বরগুনায় ১ জন এবং সিরাজগঞ্জে প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। উপকূলবর্তী ১৫টি জেলায় নদ–নদীর জলস্তর স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উঁচু দিয়ে বইছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের মোট ১৩টি জেলায়। ওই জেলাগুলিতে আগাম সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর।