‘হাইব্রিড কোভিড’ নিয়ে বড় আশঙ্কা করছে ‘হু’, এই লক্ষণগুলি চিন্তা বাড়াবে

‘হাইব্রিড কোভিড’ নিয়ে বড় আশঙ্কা করছে ‘হু’, এই লক্ষণগুলি চিন্তা বাড়াবে

জেনেভা: আরও শক্তিশালী করোনা প্রজাতি আসছে, এমন দাবি অনেক আগেই করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্পষ্ট করা হয়েছিল যে, ওমিক্রন শেষ করোনা প্রজাতি হবে না। ইতিমধ্যেই সেই দাবি সত্যি হয়েছে কারণ নতুন করোনা প্রজাতি ‘এক্সই’ ধরা পড়েছে। তবে এতেই চিন্তার শেষ নেই। আরও একাধিক কোভিড প্রজাতির সন্ধান মিলেছে যাদের ‘হাইব্রিড কোভিড’ বলা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে একাধিক লক্ষণ নিয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা দেখলেই তটস্থ হতে হবে মানুষকে।

আরও পড়ুন- শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন হয়েছিল, ২ মাস পর মৃত্যু ব্যক্তির

‘প্রজাতি’ বলা হলেও যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে তা আদতে দুটি প্রজাতির মিশ্রণের ফলে। তাই চিকিৎসক মহল এটিকে ঠিক করোনা ‘প্রজাতি’ না বলে ‘হাইব্রিড কোভিড’ বলছেন। যার মধ্যে রয়েছে এই ‘এক্সই’। এছাড়াও আছে দুই ধরনের ‘হাইব্রিড কোভিড’। একটির নাম ‘এক্সডি’, অপরটি ‘এক্সএফ’। ডেল্টা এবং ওমিক্রন বিএ.১-এর যুগ্ম সংক্রমণটি হল ‘এক্সডি’। আর ইংল্যান্ডের ডেল্টা এবং ওমিক্রন বিএ.১-এর যুগ্ম সংক্রমণকে ‘এক্সএফ’ বলা হচ্ছে। অন্যদিকে, ওমিক্রন বিএ.১ এবং বিএ.২-এর যুগ্ম সংক্রমণের ফলে তৈরি হয়েছে ‘এক্সই’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই কোভিডের সংক্রমণের হার মারাত্মক বেশি। তথ্য অনুযায়ী, ওমিক্রনের থেকে ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এটি। সংক্রমণের পরিমাণ যেহেতু বেশি তাই উপসর্গ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর দশটি মূল উপসর্গের কথা জানিয়েছে।

‘হু’ বলছে, ‘হাইব্রিড কোভিড’ হলে মূলত দশটি উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। সেগুলি হল, জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশি, ত্বক চুলকানো, গলা খুসখুস, চোখ জ্বালা, পেটের গণ্ডগোল, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, স্নায়ুর সমস্যা, অনেক সময়ে বকের রং বদলে যাওয়া। এমন কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে পরামর্শ দিচ্ছে তারা। গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে এই ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০০ টি ‘এক্সই’ সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আশার আলো এই, এই সংক্রমণের পরেও মৃত্যু আপাতত কারোর হয়নি। তাই ওমিক্রনের থেকে বেশি সংক্রামক হলেও এই প্রজাতির মারণক্ষমতা কম বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- এবার স্কুলের ইউনিফর্ম হবে নীল-সাদা, থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো, নির্দেশিকা শিক্ষা মিশনের

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করছে, মূলত তিনটি জিনিস হতে পারে আগামী দিনে। এক, সংক্রমণের ভয় থাকলেও এতদিনে টিকা নেওয়ার ফলে এবং আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে মানব শরীরে তা তাকে ঠেকিয়ে দেবে। দুই, টিকা নেওয়া বা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও নতুন রূপের করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করল আবার। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফের নয়া টিকার অপেক্ষা করতে হল। আর তিন, টিকা এবং সংক্রমণ থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তির কারণে করোনা অন্য রূপ কোনও প্রভাবই খাটাতে পারল না। ‘হু’ দাবি করছে, তৃতীয়টি হওয়ার সম্ভবনা সবথেকে বেশি। কারণ করোনা নিয়ে বাঁচতে মানুষ প্রায় শিখেই ফেলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 10 =