এবার স্কুলের ইউনিফর্ম হবে নীল-সাদা, থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো, নির্দেশিকা শিক্ষা মিশনের

এবার স্কুলের ইউনিফর্ম হবে নীল-সাদা, থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো, নির্দেশিকা শিক্ষা মিশনের

কলকাতা:  পাল্টাতে চলেছে স্কুলের পোশাক! প্রি-প্রাইমারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের পোশাকে থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের রংয়ের ছোঁয়া৷ জানা যাচ্ছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের ইউনিফর্ম নীল-সাদা করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ সেই পোশাকে থাকবে ব্র্যান্ড ‘বিশ্ব বাংলা’ লোগো৷ এ মর্মে রবিবার সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ এই পোশাক তৈরি করবে রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী৷  সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে এই পোশাক সরবরাহ করা হবে বলে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আগের মতই পড়ুয়ারা স্কুল ব্যাগ এবং জুতোও পাবে৷ প্রত্যেকটি ব্যাগের উপরেও বসানো থাকবে সরকারি লোগো। 

আরও পড়ুন- বদলে গেল উচ্চ মাধ্যমিকের সূচি, ‘ক্ষমা চেয়ে’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এবার থেকে সরকারই স্কুল ইউনিফর্ম তৈরি করবে। স্কুলগুলি তাদের পছন্দমত কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে পোশাকের বরাত দেবে, এতদিন এাই ছিল দস্তুর। কিন্তু, সেক্ষেত্রে পোশাকের গুণমান নিয়ে বহু বার প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও অভিযোগ, সরকারের ধার্য করা দামের সঙ্গে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছনো পোশাকের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে না৷ অনেক সময়েই পড়ুয়াদের কাছ থেকেও পোশাকের দাম নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সকল বৈষম্য দূর করতেই রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ দফতর (MSME)-এর মাধ্যমে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসের শুরুতেই মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এমএসএমই দফতর জুতো এবং স্কুল ব্যাগের পাশাপাশি এবার থেকে সাদা-নীল স্কুল ইউনিফর্মও তৈরি করবে৷ উল্লেখ্য, পড়ুয়াদের এই তিনটি সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া হয়৷ এই পরিষেবায় পোশাকের রং এবং লোগো নতুন সংযোজন। স্কুল শিক্ষাদফতর জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। 

তবে এই বিষয়টির সঙ্গে শিক্ষকদের অনেকেই সহমত নন। বিভিন্ন  স্কুলের বিভিন্ন ইউনিফর্ম রয়েছে। ইউনিফর্মের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুলগুলির ঐতিহ্য৷ সংশ্লিষ্ট স্কুল ইউনিফর্ম বাদ দিয়ে নীল সাদা করা নিয়ে শিক্ষক মহলের একাংশের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভও৷