কিয়েভ: এক মাস পেরিয়ে গিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হাতে লেখা একটি চিঠি নিয়ে ক্রেমলিন পৌঁছন অনুমোদিত শান্তিদূত রোমান আব্রামোভিচ৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই চিঠিটি পড়ার পরেই পুতিন নাকি বলে ওঠেন, ‘‘জেলেনস্তকিকে বলে দিও, আমি ওদের গুঁড়িয়ে দেব৷’’ তবে এই খবরের কিছুক্ষণ পরেই জানা যায়, ইউক্রেনে সেনা তৎপরতা কমাচ্ছে পুতিন বাহিনী! ব্যাপারটা ঠিক কী তাহলে?
আরও পড়ুন-স্ত্রীকে দেখেননি ২ বছর, প্রেমের টানে সাত সমুদ্দুর পাড় স্বামীর! হার মানাল চিত্রনাট্যকেও
ইউক্রেনের রাজধানী কিভ এবং চেরনিহিভ থেকে সেনা তৎপরতা কমাচ্ছে রাশিয়া। এমনই জানিয়েছেন রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। আসলে আজই ইস্তানবুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কূটনীতিকদের আলোচনা ছিল। সেই বৈঠকের পরেই এই ঘোষণা করা হয় মস্কোর পক্ষ থেকে। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর রাশিয়ার তরফ থেকে জানান হয়েছে, বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে, আরও আলোচনার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে যে যুদ্ধ থামছে না সেটা স্পষ্ট করে দেওয়াই হয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন জানিয়েছে, সুরক্ষার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে তারাও নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে ভেবে দেখবে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে কিয়েভ থেকে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আব্রামোভিচ। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, তাঁর শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে। চোখ লাল ও ত্বক হলুদ হয়ে যায়। তবে চিকিৎসার পর তিনি আপাতত সুস্থ। আর শরীরে বল ফিরে পেতেই ইউক্রেনের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যান সোজা পুতিনের দরবারে৷ কিন্তু জেলেনস্কির চিঠি পড়ে পুতিনের যে প্রতিক্রিয়া তাতে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে পারে এমন একটা বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাই দুই দেশ এখন চাইছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে।