হাত কাঁপছে পুতিনের, ‘পার্কিনসন্স’ রোগী তিনি? উঠছে হাজারো প্রশ্ন

হাত কাঁপছে পুতিনের, ‘পার্কিনসন্স’ রোগী তিনি? উঠছে হাজারো প্রশ্ন

মস্কো: তাঁর একটিমাত্র অঙ্গুলিহেলনে কাহিল হয়ে গিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লেগে কার্যত ধ্বংস হতে বসেছে সেই দেশ। গোটা বিশ্ব নিন্দা করছে পুতিন বাহিনীর। যদিও সেসব পাত্তা দেওয়ার লোক নন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। বরং ভ্লাদিমির পুতিন নিজের ডাঁট নিয়েই থাকতে পছন্দ করেন। তাঁকে কেউ কাবু করতে পারে না। তবে ভবিতব্যের কাছে হয়তো সকলেই শিশু। যে পুতিনকে পার্থিব কেউ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না, তাঁকে কি কাবু করেছে অন্য কিছু? জল্পনা তুঙ্গে। কারণ নেট মাধ্যমে তাঁর একটি ভাইরাল ভিডিও দেখে অধিকাংশ মানুষ দাবি করছে যে তিনি ‘পার্কিনসন্স’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন- ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের সাংকেতিক আমন্ত্রণ নাসার, আতঙ্কে বিজ্ঞানীদের একাংশ

সোশ্যাল মিডিয়াতে দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর জন্য অপেক্ষা করছেন পুতিন। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যেন কোনও ভাবেই স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না তিনি। একবার ডান হাত উঁচিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করলেও তা কাঁপতে থাকায় বুকের কাছে নিয়ে এলেন তিনি। এরপর আরও একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গেই বৈঠক করার সময়ে কোনও মতে চেয়ারে বসে টেবিল আঁকড়ে রয়েছেন পুতিন। কিছুতেই হাত টেবিলের তলা থেকে সরাচ্ছেন না। এতেই নেটিজেনদের সন্দেহ যে তিনি ‘পার্কিনসন্স’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে সকলে ‘ফিট’ বলেই জানে। নেট মাধ্যমে তাঁর অনেক পেশিবহুল ছবি, কসরতের ছবি, ক্যারাটে করার হবি ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এখন তাঁর এই রোগ হল? ধন্দ বাড়ছে।

পার্কিনসন্স রোগ কী?

আসলে এই রোগে হল এক ধরণের নার্ভের অসুখ। স্নায়ুকোষ বা নিউরোন মারা যেতে থাকলে শরীর অসাড় হয়ে যেতে শুরু করে। নড়াচড়ার ওপর ক্রমেই নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকেন রোগী। ওষুধ খেয়ে সাময়িক ভাবে ঠিক থাকা গেলেও আদতে এই রোগ ঠিক হয় না। এই রোগের বিশেষ কিছু লক্ষণ আছে যা দেখলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। যেমন: হাত পায়ে অনিচ্ছাকৃত কম্পন, নড়াচড়া করার ক্ষমতা হ্রাস, কথা বলার ক্ষমতা কমে আসা, দেহের ভারসাম্য রক্ষায় সমস্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *