করাচি: মাঝে মাঝেই দু-চার বছরের জন্য কাতারে যেতেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা হামিদা বানু। সেখানে গিয়ে রান্নার কাজ করতেন। কিন্তু যে এজেন্ট তাঁকে এইভাবে কাজ পাইয়ে দিয়ে সাহায্য করত সে-ই তাঁকে পাকিস্তানে বিক্রি করে দেয়। সময়টা ২০০২ সাল। কেটে গিয়েছে ২০ বছর। অবশেষে নিজের মাকে খুঁজে পেয়েছেন তাঁর কন্যা। তাও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এখন চাইছেন ভারত সরকার তাঁর মাকে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক।
আরও পড়ুন- নির্দিষ্ট সময়ের পরেও গর্ভপাতের অনুমতি অবিবাহিতাদের পাওয়া উচিত: সুপ্রিম কোর্ট
সম্প্রতি একটি পাকিস্তানের ভিডিও হাতে আসে হামিদার কন্যা ইয়াসমিনের কাছে। ভিডিওতে সে দেখতে পায় যে এক মহিলা তাঁর আসল বাড়ি, ঠিকানা, পরিবার সবকিছু নিয়ে কথা বলছে। শুনে মনে হচ্ছে সবই তাঁর ভালো মতোই মনে আছে। এই ভিডিও দেখেই নিজের মাকে চিনতে পারেন ইয়াসমিন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, বছর ২০ আগে তাঁর মা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। একজন এজেন্ট মায়ের কাজের ব্যবস্থা করে দিতেন। তিনি মায়ের যাতায়াতের দায়িত্বও নিতেন। কিন্তু কিছু দিন ধরে আচমকা মার কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ খবর ছিল যে হামিদা দুবাই গিয়েছেন। কিন্তু পরে ওই এজেন্টও আর কোনও খবর দিত না বলেই জানিয়েছে ইয়াসমিন। তাঁর কথায়, যখনই মার কথা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তখনই তাঁদের বলা হত মা ভাল আছে, কিন্তু তাঁদের কাছে আসতে চায় না।
ধীরে ধীরে মাকে খোঁজা বন্ধ করে দেয় ইয়াসমিন এবং পরিবার। তারপর এই ২০ বছর পর হঠাৎ এক পাকিস্তানী ভিডিওতে হামিদাকে দেখতে পান তাঁরা। ভিডিওতে হামিদা বলেন, তাঁকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। পরে ওই এজেন্টও ছেড়ে চলে যায় তাঁকে। এই ভিডিও দেখার পরেই ইয়াসমিন ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে তাঁর মাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায়। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে হামিদা করাচিতে নিজের সৎ ছেলের সঙ্গে থাকেন। কয়েক দিন আগে ভিডিও কলে নিজের পরিবারের সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর।