লন্ডন: দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে টুইটার কিনে নিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। আর তা কেনার পরেই চাকরি গিয়েছে সিইও পরাগ আগরওয়ালের। এই নিয়ে এখন গোটা বিশ্বেই প্রায় চর্চা। ২০২১ সালের নভেম্বরে টুইটারের সিইও হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তখন কেউ ভাবতে পারেনি যে এইভাবে তাঁর অবসান ঘটবে। কিন্তু ইলন এই রকম সিদ্ধান্ত যে নিতেন তা অনেক আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল। তবে চাকরি হারিয়েও কোনও ক্ষতি হবে না পরাগের। কারণ তাঁর পকেটে ঢুকছে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।
আরও পড়ুন- চোখ ধাঁধাঁনো অন্দরসজ্জা, কী নেই সেখানে! বিলাসবহুল বুর্জ খলিফায় একটি ফ্ল্যাটের দাম কত জানেন?
২০১১ সালে টুইটারে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন পরাগ। ২০১৭ সালে সংস্থার ‘চিফ টেকনোলজি অফিসার’ বা সিটিও হয়ে যান তিনি। এরপর ২০২১ সালে সিইও পদে যোগ দেন। কেরিয়ার তাঁর উত্থান সত্যিই দেখার মতো। কিন্তু শেষটা যে এভাবে হবে তা কেউই কল্পনা করেননি। যদিও এটাও কল্পনা করা যায় না যে, চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়ে যাওয়ার পরেও কোটি কোটি টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। আসলে নিয়ম অনুযায়ী, মালিকানা বদলের ১২ মাসের মধ্যে যদি পরাগকে বরখাস্ত করা হয়, তা হলে প্রায় ৪ কোটি ২০ লক্ষ ডলার দিতে হবে তাঁকে। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৩৪৫ কোটি টাকারও বেশি। সেই টাকা এখন দিতে হবে সংস্থার নতুন মালিক ইলন মাস্ককেই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পরাগের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে এই মাইক্রোব্লগিং সাইট অধিগ্রহণ করার পর ইলন মাস্ক টুইট করেন, ‘পাখি এখন মুক্ত’। সকলেই জানেন, টুইটারের লোগোতে নীল রঙের একটি পাখির ছবি রয়েছে। তবে আদতে ঠিক কী বলতে চাইলেন মাস্ক? আসলে অতীতে টুইটারকে ব্যবহার করে বহু বার অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অশালীন মন্তব্য নিয়েও অনেক বিতর্ক। প্রথম থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ইলন মাস্ক। অনেকের মতে, ‘পাখি মুক্ত’ বলতে এই নিয়েই কিছু বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।