বার্লিন: কতকিছুই তো সংরক্ষণ করা থাকে। বিশ্বের নানা জায়গায় নানা মিউজিয়াম গেলে দেখতে পাওয়া যায় অসংখ্য সংরক্ষিত জিনিস। ইতিহাস যেন পাতা থেকে উঠে আসে চোখের সামনে। তেমনভাবেই প্রায় ১ হাজার ৬০০-র বেশি বিভিন্ন প্রজাতির ‘বাসিন্দা’ ধরে রাখা ছিল বিশাল অ্যাকোয়ারিয়ামে। না, কোনও মৃত কিছু বা কাল্পনিক কিছু ছিল না। সকলেই বহাল তবিয়তে জীবনধারণ করছিল। কিন্তু সেই বিশাল অ্যাকোয়ারিয়াম ফেটে ঘটল বিপত্তি। একাধিক জন আহত হলেন, অনেক ক্ষতি হল আর মারাও গেল তারা সকলে।
বার্লিনের রেডিসন ব্লু হোটেলের একটি ভবনের ভেতর এক সুবিশাল অ্যাকোয়ারিয়াম ছিল। যাতে সংরক্ষিত ছিল প্রায় ১ হাজার ৬০০-র বেশি মাছ। সেই অ্যাকোয়ারিয়ামটি ফেটে যাওয়ায় ঘটে গিয়েছে বড়সড় বিপত্তি। ওই পাশেই ছিল একাধিক ক্যাফে। অ্যাকোয়ারিয়ামটি ফেটে যাওয়ার ফলে হোটেলের তো ক্ষতি হয়েছেই, আশেপাশে কিছুটা এলাকাও জলে জলাকার। একাধিক জিনিস ভেঙে গিয়েছে, আসবাব ভেসে গিয়েছে, অ্যাকোয়ারিয়ামে থাকা মাছেরাও মারা গিয়েছে। কয়েকজন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে কোনও মানুষের মৃত্যু হয়নি।
তবে কী ভাবে এই অ্যাকোয়ারিয়ামটি ফেটে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসলে ২০১৯ সাল থেকে এই অ্যাকোয়ারিয়ামের প্রদর্শন বন্ধ ছিল কারণ সংস্কারের কাজ চলছিল। ৩ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর তা সম্প্রতি খুলেছিল আর খুলেই এই বিপত্তি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে যাওয়ার কারণে এতে ফাটল ধরে। আর তা থেকেই এটি ফেটে যায়। তবে এখনও প্রায় ৫০০ মাছ জীবিত আছে এবং তাদের অন্য ছোট অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফাইনালের দু’দিন আগেই আরও এক বিশ্বকাপের ঘোষণা! চমকে দিল FIFA
তবে এই অ্যাকোয়ারিয়াম আসলে কী? বিশ্বের বৃহত্তম ‘সিলিন্ড্রিক্যাল অ্যাকোয়ারিয়াম’ এটি। অন্তত ১০০ রকম বিরল প্রজাতির মাছ থাকত এখানে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে মাছ আনা হত। ১৬ ফুটের এই অ্যাকোয়ারিয়াম নিয়ে সকলের কৌতূহলের অভাব ছিল না।