কিয়েভ: ইউক্রেনের আকাশ ঢাকা পড়েছে যুদ্ধের কালো মেঘে৷ বাতাসজুড়ে বারুদের গন্ধ৷ ক্রমাগত বেজে চলেছে সাইরেন৷ অনবরত গোলাগুলির শব্দ৷ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ১০ মাস পড়েও যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ৷ বছর ফুরালেও যুদ্ধ ফুরায়নি৷ ভারত সহ একাধিক দেশ বারবার পারস্পরিক কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করলেও আলোচনার বৈঠকে মেলেনি রফা সূত্রে৷ বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আক্রমণের ঝাঁঝ৷ বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। এই আবহে সোমবার ফের মিলল হামলার খবর৷
আরও পড়ুন- রুশ সেনার উপর মিসাইল দাগল সান্তা বুড়ো! ভাইরাল ভিডিয়ো
সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, উত্তর দনেৎস্ক অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা পুতিন বাহিনীর উপর রকেট হামলা চালায় ইউক্রেনীয় সেনা৷ এই হামলায় ৬৩ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই ১০ মাসে অন্যতম বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন বাহিনী। অন্যদিকে কিয়েভের দাবি, ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নববর্ষের রাতে ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন৷ আহতের সংখ্যা প্রায় ৩০০৷
দনেৎস্কের রুশপন্থী প্রশাসনের আধিকারিক ড্যানিল বেজসোনভ জানান, নববর্ষের মধ্যরাতের মিনিট দুই পরেই ম্যাকিভকা এলাকায় একটি কারিগরি শিক্ষার স্কুলে আছড়ে পড়ে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র। সেটি ছিল আমেরিকার দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী হিমারস লঞ্চ সিস্টেম থেকে মোট ৬ টি রকেট হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে দুটিকে গুলি করে ধ্বংস করা গিয়েছে৷ তবে বেজসোনাভ জানিয়েছেন, দনেৎস্কে ২৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হানা হয়েছে৷ সাম্প্রতিককালে ইউক্রেনের উপর হামলার রেশ কিছুটা কমিয়েছিল রাশিয়া। এই ঘটনা নতুন করে রাশিয়ার আগ্রাসনকে উস্কে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই যুদ্ধের আবহে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ ওই সফরেই ‘প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর৷ সূত্রের খবর, পুতিন বাহিনীকে রুখতে এই হাতিয়ার ইউক্রনকে দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে পেয়ে গেলে রুশ মিসাইল এবং ড্রোন রুখে দিতে পারবে জেলেনস্কির সেনা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>