কাবুল: দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর এবং আশেপাশের অঞ্চলে মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছে এবং রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.১। ২০০২ সালের পর এই প্রথম এত বেশি মাত্রায় কেঁপেছে আফগানিস্তান। দেশের একাংশ এখন কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, মৃত্যু ১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে, যদিও এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। এই ধ্বংসের মাঝেই এক খুদের ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। ভূমিকম্প তার গোটা পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। ৩ বছরেই ওই খুদেই এখন শুধু বেঁচে। কিন্তু অবুঝ শিশু তা বোঝে না। মুখে-চোখে ধুলো মেখেই সে খুঁজে চলেছে বাবা-মা’কে।
আরও পড়ুন- ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগে রয়েছে গুচ্ছ শর্ত, কী কী সুবিধা পাবেন এই সেনারা
আফগানিস্তানের এক সাংবাদিক এই খুদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। জানিয়েছেন, পরিবারের মধ্যে হয়তো এই শিশু একাই বেঁচে আছে। কিন্তু সে এখনও তার বাবা-মা এবং বাকিদের খুঁজছে। তার মুখে একটা হালকা হাসির ছাপ, মুখে ধুলো মাখা। এই ছবি ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, যে পরিস্থিতি হয়েছিল তাতে শুধুমাত্র ভাগ্যের জোরেই এই শিশু বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু এখন সে সত্যি কী করবে তা কারোর জানা নেই। আগামী সময়টা তার পক্ষে যে ভীষণ কষ্টকর হবে তা বলাই বাহুল্য কারণ ভূমিকম্পের পাশাপাশি আফগানিস্তান এখন বন্যা বিধ্বস্তও।
আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বের পাপতিকা প্রদেশ, যেখানে এই ভূকম্পনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সেই এলাকাতে বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছিল ব্যাপক বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিতে ভূমিধস নামায় বিধ্বস্ত এলাকাতে উদ্ধার কাজ চালানো তো দূর অস্ত, অধিকাংশ এলাকাতে পৌছতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল। এদিকে আবার আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় অদ্ভুত আবহাওয়ার দেখা মিলছে। কোনও কোনও এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যখন শিল পড়ছে, তখন কোনও কোনও এলাকায় আবার এই জুন মাসে তুষারপাত শুরু হয়েছে। আবার প্রবল বৃষ্টির জেরে একাধিক এলাকায় কার্যত বন্যা হয়ে গিয়েছে।