ঠাকুমার আত্মত্যাগেই ঐতিহাসিক সোনা জয়, বললেন কমনওয়েলথে ট্রিপল জাম্পের নায়ক এল্ডহোস

ঠাকুমার আত্মত্যাগেই ঐতিহাসিক সোনা জয়, বললেন কমনওয়েলথে ট্রিপল জাম্পের নায়ক এল্ডহোস

নয়াদিল্লি: ইতিহাস লিখে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের ঝুলিতে সোনা এনে দিয়েছেন অ্যাথলিট এল্ডহোস পল৷ তিনি এমন এক ইভেন্ট থেকে পদক জিতেছেন, যে ইভেন্টে এতদিন কোনও পদকই জিততে পারেনি ভারত৷ এই প্রথম পদক এল, তাও আবার সোনা৷ ত্রিপল জাম্পে এল্ডহোসের পদক জয়ে যখন সকলে মাতোয়ারা, তখন উঠে এল তাঁর ঠাকুমার আত্মত্যাগের কাহিনী৷ জানা গেল, এল্ডহোসের পদক জয়ের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর ৮৯ বছর বয়সি ঠাকুমার আত্মত্যাগ৷ 

আরও পড়ুন- নীরজ আমাদের ছেলের মতো! বললেন এই পাকিস্তানি কোচ

রবিবার ত্রিপল জাম্পে ঐতিহাসিক সোনা জয়ের পর এল্ডহোস জানান, মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারিয়েছিলেন তিনি৷ তার পর থেকে কোলেপিঠে মানুষ করেন তাঁর ঠাকুমাই৷ কেরলের এর্নাকুলামে অশীতিপর ঠাকুমার আত্মত্যাগই তাঁর সোনা জয়ের প্রকৃত কারণ। ঠাকুমা মারিয়াম্মা না থাকলে হয়তো কোথাও হারিয়ে যেতেন তিনি৷ এল্ডহোসের ছোট ভাই অবিন পলও মানুষ হয়েছেন ঠাকুমা মারিয়াম্মার কাছেই। তবে বর্তমানে অসুস্থ অবিন৷

এল্ডহোসের বাবা পলহোস কাজ করতেন টেড্ডিসের শপে৷ কিন্তু, কখনই তাঁর কাছ থেকে সে ভাবে আর্থিক সহায়তা পাননি। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এল্ডহোস জানিয়েছেন, ‘আমি যখন এমটিএম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি হই, তখন থেকেই খেলার প্রতি আমার আগ্রহ ও ভালবাসা জন্মায়। কিন্তু, আমাদের বাড়ির আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না। আমার ঠাকুমা তাঁর সবকিছু উজাড় করে আমায় পাশে দাঁড়ান। যখন ঠাকুমাকে জানাই আমি ভবিষ্যতে খেলাধূলা নিয়ে এগোতে চাই, তখন এ বিষয়ে ঠাকুমার কোনও ধারণাই ছিল না৷ কিন্তু আমি যাতে সবসময় ভালো খাবারটা পাই, সেটা তিনি নিশ্চিত করেছেন৷ ট্রেনিংয়ের যাতে সেরা ইকুইপমেন্টটা পাই, সেই চিন্তা করেছেন। আমার কাছে তিনি সুপার মাদার।’ 

উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ গেমসে ট্রিপল জাম্পে ১৭.০৩ মিটার জাম্প করে ভারতকে সোনা এনে দেন এল্ডহোস পল। ওই ইভেন্টেই রুপো জেতেন ভারতের আবদুল্লা আবুবকর।