প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে কী ভাবে অলিম্পিক্সে পদক ছিনিয়ে নিল পাহাড়ি মেয়ে চানু?

প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে কী ভাবে অলিম্পিক্সে পদক ছিনিয়ে নিল পাহাড়ি মেয়ে চানু?

টোকিও: ২১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অলিম্পিক্সে পদক জিতল ভারত৷ কর্ণম মালেশ্বরীর পর টোকিও অলিম্পিক্সে ভারোত্তলনে রুপো জিতলেন মীরাবাই চানু৷ মহিলাদের ৪৯ কেজিতে রুপো জেতেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- ২১ বছর পর অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতের, ইতিহাস লিখলেন মীরাবাই চানু

সাধারণ পরিবার থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন মীরাবাই চানু৷ কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিভার জেরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান ঘটে তাঁর৷ ২০১৭ সালে ভারোত্তলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি৷ ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতেন৷ এর আগ ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ-এ রুপো জিতেছিলেন মীরাবাই চানু৷ ২০২০ সালে এশিয়ান চাম্পিয়নশিপে তাঁর হাত ধরেই আসে ব্রোঞ্জ৷ আর ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পক্সে মহিলাদের ৪৯ কেজিতে অলিম্পিক্সে রুপো জিতলেন ২৬ বছরের চানু৷ এটাই টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের প্রথম পদক৷ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, এর চাইতে ভালো শুরু আর কিছুই হতে পারে না৷  

 

যখন পাঁচ বছর বয়স চানুর, তখন এক কিলোমিটার দূর থেকে মাথায় করে জলের ভারী ড্রাম বয়ে আনতেন তিনি। যখন বয়স ১২, তখন বন থেকে দাদাদের চেয়ে অনেক বেশি ওজনের জ্বালানি কাঠ বড়িতে টেনে আনতেন। পাহাড়ি এলাকায় সংগ্রামময় জীবন ছিল তাঁর৷ অনুশীলনের পথও সহজ ছিল না৷ পাহাড়ি পথ বেয়ে প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরে প্রত্যেক দিন অনুশীলন করতে যেতেন কোচ অনিতা চানুর কাছে। মণিপুরের সেই পরিশ্রমী, জেদি  মেয়ে টোকিও অলিম্পিক্সে পদক পাবেন, সে আশা সকলেরই ছিল৷ জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে কলকাতাতেও এসেছিলেন ছোটখাটো চেহারার চানু৷ 

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক খেলায় ‘অন্ধকারে’ ইস্ট বেঙ্গল, তোপ দিলীপের

টোকিও অলিম্পিক্সের জন্য চার-পাঁচ বছর ধরে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন মীরাবাই চানু৷ চাপ সরিয়ে কী ভাবে পদক জেতা যায় সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন৷ তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমার রাজ্যের মেরি কমই আমার জীবনের আদর্শ৷ উনি যে ভাবে মাথা ঠাণ্ডা  রাখেন, আমি সে ভাবে নিজেকে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করি৷’’ রিয়োতে ব্যর্থতার পর তিলেতিলে নিজেকে গড়েছেন৷ তার ফসল টোকিও৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − 1 =