ভরা স্টেডিয়ামে বান্ধবীকে চুম্বন করে ‘পেনাল্টি’! কাতারের আইন ভেঙে বিপদে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক

ভরা স্টেডিয়ামে বান্ধবীকে চুম্বন করে ‘পেনাল্টি’! কাতারের আইন ভেঙে বিপদে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক

দোহা: এ মুলুকে চুম্বন নিষেধ৷ প্রকাশ্যে ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁলেই কপালে শাস্তি৷ কিন্তু, জয়ের আনন্দে শিকেয় উঠল কাতার প্রশাসনের সেই নির্দেশ৷ বান্ধবীকে চুম্বন করে আয়োজক দেশের আইন ভাঙলেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। গ্যালারিতে উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষের সামনেই বান্ধবী মিশেল গেরজির ঠোঁটে চুমু এঁকে দেন কুর্তোয়া। যা কাতারের আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ।

আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগেই শাস্তির মুখে রোনাল্ডো, নির্বাসিত দুই ম্যাচে

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয়ের পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বেলজিয়ামের ফুটবলাররা৷ এদিন কানাডার বিরুদ্ধে লড়াই ছিল বেশ কঠিন। ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় কানাডা। কিন্তু, আলফনসো ডেভিসের শট অসাধারণ দক্ষতায় আটকে দেন কুর্তোয়া। সব শেষে ম্যাচের ফল দাঁড়ায় ১-০৷ তবে ম্যাচের শুরুতে যদি কানাডা গোল পেয়ে যেত, তাহলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারত। এদিন এডেন অ্যাজাররা জয় ছিনিয়ে আনলেও, শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছিল কানাডা। একাধিক বার বিরোধীদের আক্রমণ প্রতিহত করেন আত্মবিশ্বাসী রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক। জালে বল জড়াতে মোট ২২টি শট মেরেছিলেন কানাডার ফুটবলাররা। বারবারই বুক চিতিয়ে দাঁড়ান তিনি৷ অঘটনের বিশ্বকাপে তিন পয়েন্ট ঝুলিতে ভরে মাঠ ছাড়ার আগে উচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি কুর্তোয়া। খেলা শেষ হতেই তিনি সোজা চলে যান বান্ধবীর কাছে। তাঁকে সামনে পেয়ে জয়ের আনন্দে কুর্তোয়ার ঠোঁটে চুম্বন করেন মিশেল। এতেই যত বিপত্তি৷ 

কাতার একটি রক্ষণশীল দেশ৷ সে দেশের আইনে প্রকাশ্যে চুম্বন অপরাধের সামিল। বিশ্বকাপেও দেশের সংস্কৃতি যাতে অক্ষুণ্ন থাকে, সেই চেষ্টাই করছে কাতার৷ দেশের আইন কঠোর ভাবেই প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ এতে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হলেও, তাতে কর্ণপাত করতে নারাজ কাতারের রাজা। 

এমনিতেই কাতারে মদ্যপান, নৈশজীবন এবং পোশাক বিধির উপর কড়াকড়ি রয়েছে৷ বিশ্বকাপেও তার বদল হয়নি৷ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিয়ার। খেলা দেখতে আসা বিদেশি মহিলারা যাতে কাঁধ ও হাঁটু ঢাকা পোশাক পরেন, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাফ প্যান্ট বা স্লিভলেস পোশাকে আপত্তি রয়েছে৷  সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে আলিঙ্গন বা চুম্বন কাতারে গুরুতর অপরাধ৷ এর জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হতে পারে। সেখানে ভরা স্টেডিয়ামে এভাবে কুর্তোয়া বান্ধবীকে চুম্বন করায় অনেকেই বিস্মিত৷ 

তবে ইউরোপ, আমেরিকায় প্রকাশ্যে চুম্বন কোনও অপরাধ নয়৷ বলা ভালো এতেই অভ্যস্ত নাগরিক জীবন৷ কিন্তু কাতারে নৈব নৈব চ৷ ফলে বান্ধবীকে চুম্বন করে ফাঁপরে কুর্তোয়া৷ তাঁকে এবং তাঁর বান্ধবীকে শাস্তি পেতে হবে কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন৷ তাঁদের নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কাতার প্রশাসনের থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি৷