ময়দানের সুভাষ আর নেই, বঙ্গ ক্রীড়াজগৎ হারাল ‘বুলডোজার’

ময়দানের সুভাষ আর নেই, বঙ্গ ক্রীড়াজগৎ হারাল ‘বুলডোজার’

কলকাতা: প্রয়াত বাংলা ক্রীড়াজগতের অন্যতম সফল ফুটবলার এবং কোচ সুভাষ ভৌমিক। এদিন সকালের কলকাতার একটি নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে সুগার এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন সুভাষ। বিগত ৩ মাস ধরে ডায়ালিসিস চলছিল তাঁর। সম্প্রতি কিছু দিন ধরে বুকে সংক্রমণের সমস্যাও দেখা দিয়েছিল তাঁর। আজ থামলেন তিনি।

আরও পড়ুন- রিফিউজি ক্যাম্প থেকে ফুটবল মাঠে রাজত্ব, তালিবানকে বোকা বানানো নাদিয়া এবার পাশ করলেন ডাক্তারিও

গতকাল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ঘরে সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসা ভালো ভাবে করার জন্য পরিকল্পনা করতে একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যের মতো তারকা ফুটবলাররা। ছিলেন ময়দানের বড় ক্লাবগুলির সদস্যরাও। সকলেই আশা করছিলেন যে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন সুভাষ ভৌমিক। কিন্তু সেই আশা পুরণ হল না। বাংলার ক্রীড়া ময়দানে ‘বুলডোজার’ নামে পরিচিত সুভাষ থেমে গেলেন এভাবেই।

মাত্র ১৯ বছর বয়সে কলকাতায় ময়দানে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। মাত্র এক মরসুম সেখানে খেলেই যোগ দেন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানে। তারপর এই দুই ক্লাবেই চলতে থাকে তাঁর খেলোয়াড় জীবনের যাতায়াত। অবশেষে ১৯৭৯ সালে অবসর নেন সুভাষ। ক্লাব কেরিয়ারে মোট ২৭টি ট্রফি জিতেছিলেন সুভাষ। শিল্ড, রোভারস কাপ, ফেডারেশন কাপ থেকে শুরু করে দার্জিলিং গোল্ড কাপ সবই জিতেছেন তিনি। বাংলা ও দেশের হয়েও ট্রফি জিতেছেন সুভাষ। শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই আটকে থাকেননি তিনি। কোচিং করিয়েছেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও। ১৯৮৬ সালে প্রথম জর্জ টেলিগ্রাফের কোচ হন তিনি। ১৯৯১ সালে মোহনবাগান, তারপর ১৯৯৯-২০০০ এবং ২০০২-২০০৫ এবং ২০০৮-২০০৯ সালে লাল-হলুদের কোচ ছিলেন তিনি। তাঁর কোচিংয়েই ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ জেতে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ছাড়াও মহমেডান স্পোর্টিং, সালগাঁওকর ও চার্চিল ব্রাদার্সের কোচ হয়েছিলেন সুভাষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =