বাড়ির অন্দরেই ১১ বছর চুপিসারে প্রেম! বোন অন্তঃসত্ত্বা হতেই প্রকাশ্যে রেসারের কীর্তি

 কলকাতা:  এ বড়ই অদ্ভূত প্রেম৷ এখানে ধর্ম, বর্ণ বা অর্থের বাধা নেই৷ নেই জাতপাতের ছুঁৎমার্গ৷ কিন্তু তবুও এ প্রেম বিচিত্র৷ কারণ এই কাহিনির চরিত্ররা সম্পর্কে ভাই-বোন! হ্যাঁ, এটাই সত্যি৷ ছোট থেকে একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা ছেলে মেয়ে দুটো ছিল একে অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড৷ সেখান থেকেই সম্পর্ক গড়াল প্রেমে। বাড়ি ফাঁকা থাকলেই চলত উদ্দাম যৌনতা। মেয়েটি গর্ভবতী হতেই প্রকাশ্যে সম্পর্কের রসায়ন৷ সমস্ত কিছুর পর্দা ফাঁস৷ সবটা পরিষ্কার হয়ে গেল দিনের আলোর মতো৷ 

আরও পড়ুন- আইপিএলে বড় চমক, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাবেন অরিজিৎ সিং

মিগুয়েল অ্যাঞ্জেলো ফ্যালকো ডি অলিভিয়েরা হলেন একজন পেশাদার মোটো জিপি রেসার। অলিভিয়েরাই প্রথম পর্তুগিজ রেসার যিনি ইতালিয়ান মোটরসাইকেল গ্র্যান্ড প্রিক্স জিতেছেন। ২০১৫ সালে মোটোজিপিতে প্রথমবার পর্তুগিজ রাইডার হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০১৮ মটো ট্যু ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপ হন৷ তবে অলিভিয়েরা অনেক বেশি চর্চিত তাঁর প্রেমজীবনের জন্য। 

আন্দ্রিয়া পিমেন্টার সম্পর্কে তাঁর সৎ বোন৷ একই বাড়িতে বেড়ে ওঠা তাঁদের৷ অলিভিয়েরা যখন কিশোর, তখন তাঁর বাবা দ্বিতীয়ার বিয়ের পিড়িতে বসেন৷  যাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন, সেই মহিলার আগের পক্ষের এক মেয়ে ছিল। নাম আন্দ্রেয়া পিমেন্টো। অলিভিয়েরা ও পিমেন্টো ছিলেন পিঠোপিঠি৷ তাঁর এক সঙ্গেই বড় হতে থাকে। খুব সহজে একে অপরের ভালো বন্ধু হয়ে ওঠে তাঁরা।

সেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। তাঁদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক ছিল না ঠিকই৷ কিন্তু, বোন বলে কথা। তাই ১১ বছর ধরে বাড়িতেই লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেম করতে থাকেন দু’জনে। তাঁদের এই সম্পর্কের কথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ৷ মিগুয়েলের বাবা এবং আন্দ্রেয়ার মা দুই ছেলে মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে ছিলেন সম্পূর্ণ অন্ধকারে৷  

আমাদের দেশে মোটর সাইকেল রেসিং বিশেষ জনপ্রিয় নয়। তবে ইউরোপের দেশগুলিতে এর কদর রয়েছে। আর রেসার হিসাবে বেশ নামডাক রয়েছে মিগুয়েল অলিভিয়েরার৷ তবে এই হ্যান্ডসাম হাঙ্ককে তাঁর প্রেমিকা খোঁজার জন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ডেটিং সাইটের আশ্রয় নিতে হয়নি৷ বরং তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে তিনি খুঁজে পান নিজের বাড়িতেই৷ 

২০১৯ সালে প্রথমবার নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন এই রেসার৷ যা সকলকে অবাক করে দেয়। বিয়ের আগে ধুমধাম করে বাগদানও সারেন তাঁরা। কিন্তু, জানেন কি মিগুয়েল ও পিমেন্টার বাগদানের খবর সবার আগে জানিয়েছিলেন তাঁদের বাবা। ছেলে-মেয়ের এই সম্পর্ক খুশি মনেই মেনে নেন তিনি। মিগুয়েল-আন্দ্রেয়ার সম্পর্ক নিয়ে খুশি তাঁদের পরিবারের বাকি সদস্যরাও। 

২০২০ সালে বিয়ের কথা ছিল তাঁদের৷ তেমনটা ঘোষণাও করা হয়েছিল। তবে কোনও সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে যায়। ইতিমধ্যে ২০২১ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন আন্দ্রেয়া। তারপরই তড়িঘড়ি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিগুয়েল-আন্দ্রেয়া। 

আন্দ্রেয়া অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন মোটো জিপি রেসার। স্ত্রীর বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করে ভক্তদের সুখবরও দেন তিনি। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পৃথিবীর আলো দেখে তাঁদের প্রথম সন্তান৷ নিন্দুকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেশ সুখেই সংসার করছেন এই ‘ভাই-বোন’।