আয়করই দেন ৩৮ কোটি! জানেন বছরে কত টাকা আয় করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি?

আয়করই দেন ৩৮ কোটি! জানেন বছরে কত টাকা আয় করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি?

নয়াদিল্লি: মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ ভারতীয় ক্রিকেটে একটি যুগের নাম৷ একটি বর্ণময় অধ্যায়৷ ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি সবচেয়ে সফল অধিনায়ক৷ সফল উইকেট রক্ষকও বটে৷ ক্যাপ্টেন কুল বহু ক্রিকেট প্লেয়ারের অনুপ্রেরণা৷ ঠাণ্ডা মাথায় কী ভাবে ম্যাচের মোড় ঘোরাতে হয়, তা ধোনির চেয়ে ভালো বুঝি আর কেউ জানে না৷ তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু জনপ্রিয়তা তাঁর পিছু ছাড়েনি৷ আজও তিনি ব্যাট হাতে ময়দানে নামলে জেগে ওঠে আপামর ক্রিকেটপ্রেমীর আবেগ৷  দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী ধোনির মোট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৮৬০ কোটি টাকা। 

আরও পড়ুন- প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে শোকস্তব্ধ রোনাল্ডকে নিজেদের গান উৎসর্গ লিভারপুলের সমর্থকদের

বিশ্বের সবথেকে বেশি বেতন পাওয়া ক্রিকেটার এবং ধনী ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছে ক্যাপ্টেন কুলের নাম। ভারতের গন্ডি ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাঁর অনুরাগী। শোনা যায়, তিনি যেই সংস্থার হয়ে প্রচার করেন সেই সংস্থার পণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকে হু হু করে৷ ভারতের সর্বোচ্চ উপার্জন করা ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম তিনজনে রয়েছে ধোনির নাম৷ পাশাপাশি আইপিএল (IPL)-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও রাঁচির ভূমিপুত্র৷ বিগত কয়েকবছর ধরে ঝাড়খন্ডের সবচেয়ে বেশি করদাতাদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছেন ধোনিই৷ তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান দেখে চোখ কপালে ওঠে৷ 

একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী,   প্রতি মাসে সবমিলিয়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেন চেন্নাই সুপারকিংসের অধিনায়ক। তাঁর অর্ধেক আয় আসে বিজ্ঞাপন থেকে। আইপিএল থেকে ধোনি পান ১৫ কোটি টাকা। প্রত্যেক ওয়ান-ডে ম্যাচে ধোনির বেতন ছিল ৩ লক্ষ টাকা৷ টি-২০ ম্যাচে পান ২০ লক্ষ টাকা। তাঁর মোট বিনিয়োগ ৬২০ কোটি টাকা। জানা যায়, ধোনির মোট ব্র্যান্ডভ্যালু ৪২ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ২০২০ সালে ধোনির উপার্জন ছিল ৯০ মিলিয়ন ডলার৷ ২০২১ সালে  ১০০ মিলিয়ন ডলার৷ আর ২০২২-এ ১১০ মিলিয়ন ডলার৷ 

রাঁচিতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়কের৷ সেখানেই বাবা, মা, স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে থাকেন ধোনি৷ ৭ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে পেল্লাই বাংলো৷ ২০১৭ সালে তিনতলা এই বাংলোয় আসেন ধোনির পরিবার৷ যার আনুমানিক মূল্য ১৭.৮ কোটি টাকা৷ এছাড়াও একাধিক বাড়ি রয়েছে তাঁর নাম৷ রয়েছে খামার বাড়ি৷ সপ্তাহের অর্ধেকের বেশি সময় খমারবাড়িতেই কাটান তিনি৷  

ধোনির বাইক ও গাড়ির শখের কথা কারও অজানা নয়৷ তাঁর গ্যারাজে রয়েছে একের পর এক দামি বাইক ও গাড়ির সম্ভার৷ একাধিক সুপারবাইক রয়েছে তাঁর কাছে। কাওয়াসাকি নিনজা, হার্লে ডেভিডসন, কনফেডারেশন হেলক্যাটের মত বাইকের মালিক তিনি৷ মাঝে মধ্যেই বাইক নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন রাঁচির রাস্তায়৷ পাশাপাশি পোর্শে, অডি, জাগুয়ার, কনফেডারেট হেলক্যাটের মত বিশ্বমানের ব্র্যান্ডের গাড়ি রয়েছে তাঁর গ্যারাজে৷ সবার আগে তিনি কিনেছিলেন হ্যামার এইচ-২৷ যার দাম ১ কোটি টাকা৷ এর পরেই কেনেন মার্সিডিজ বেঞ্চ GLS 350D৷ যার মূল্য ৮৮ লক্ষ টাকা৷

খেলার পাশাপাশি একাধিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মাহি৷ এমকিওর ফার্মাসিউটিকল, কারস ২৪, মেনসওয়ার, রেডবাস, কোলগেট, ইন্ডিগো পেইন্টস, গো ড্যাডি, ভারত ম্যাট্রিমনি, এসআরএমবি টিএমটিবার, মাস্টারকার্ডের মত সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত৷  কম যান না তাঁর স্ত্রী সাক্ষী ধোনিও৷ তিনিও মিডাস ডিলস, জিজে এন্টারপ্রাইজ, উইনিং ওয়েজেস, নেক ইনফোটেকের মতো  একাধিক সংস্থার ডেরিক্টর৷ তথ্য বলছে, রিয়েল এস্টেট সংস্থা আম্রপালি গ্রুপে ২৫ শতাংশ শেয়ার ছিল তাঁর নামে৷  তবে এই সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে৷ নাম জড়িয়েছিল ধোনিরও৷ পরে অবশ্য তা খারিজ হয়ে যায়৷