নিউ ইয়র্ক: দৌড়ে ছিলেন ব্যালন ডি’অর জয়ী করিম বেঞ্জিমা। বর্ষসেরা হওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিলেন কাতার বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতা কিলিয়ান এমবাপেও৷ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সকলকে পিছনে ফেলে জয়ী হলেন লিয়োনেল মেসি। আরও এক বার কিলিয়ন এমবাপেকে হারিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তী ফুটবলার৷ সেই সঙ্গে হারালেন করিম বেঞ্জিমাকেও। পুরুষ বিভাগে ফিফার বিচারে এই বছরের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন লিয়ো।
আরও পড়ুন- জোব্বা গায়ে তলোয়ার হাতে নাচলেন রোনাল্ডো! হ্যান্ডসাম বললেন বান্ধবী জর্জিনা
গত বছর ডিসেম্বর মাসে এমবাপের ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা৷ দলকে চ্যাম্পিয়ন করার নেপথ্য নায়ক ছিলেন এই মেসি। তবে শুধু মেসি নন, ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের মঞ্চে গোটা আর্জেন্তিনারই জয়জয়কার। একাধিক বিভাগে বর্ষসেরার খেতাব গিয়েছে আর্জেন্তিনার ঝুলিতে। বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসি জোড়া গোল করেছিলেন। সেখানে এমবাপের পায়ে আসে হ্যাটট্রিক৷ কিন্তু ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি ফ্রান্স৷ আড়াই মাস আগেও মেসির কাছে হেরে রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল এমবাপেকে। এ বারও তিনি দ্বিতীয় স্থানে রইলেন।
এই পুরস্কার জেতার ক্ষেত্রে মেসি পান ৫২ পয়েন্ট৷ সেখানে এমবাপ পেয়েছেন ৪৪ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থান দখলকারী বেঞ্জিমার পয়েন্ট ৩৪। এরপর যথাক্রমে রয়েছেন লুকা মডরিচ (২৮), আরলিং হালান্ড (২৪), সাদিয়ো মানে (১৯), জুলিয়ান আলভারেজ (১৭), আশরাফ হাকিমি (১৫), নেইমার (১৩), কেভিন দি ব্রুইন (১০), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (১০), রবার্ট লেওয়ানডস্কি (৭), জুড বেলিংহ্যাম (৩), মহম্মদ সালা (২)।
এই নিয়ে মোট সাত বার ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার পেলেন মেসি। এর আগে ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে এই পুরস্কার জেতেন তিনি৷ ২০১৬ সাল থেকে একক ভাবে এই পুরস্কার দিচ্ছে ফিফা। তার আগে অন্য একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই পুরস্কার দিত তারা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>