জোব্বা গায়ে তলোয়ার হাতে নাচলেন রোনাল্ডো! হ্যান্ডসাম বললেন বান্ধবী জর্জিনা

জোব্বা গায়ে তলোয়ার হাতে নাচলেন রোনাল্ডো! হ্যান্ডসাম বললেন বান্ধবী জর্জিনা

রিয়াধ: হাতে তলোয়ার। গায়ে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। আরবের মরু প্রান্তরে নতুন রূপে ধরা দিলেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যিনি কিনা সম্প্রতি ২০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তিতে সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিয়েছেন৷ আর সে দেশে গিয়ে হয়ে উঠলেন তাঁদেরই একজন৷ তাই তো গায়ে সাদা জোব্বা গলিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে আরবীয় পানীয় গ্রহণ করেন পর্তুগিজ কিংবদন্তী।

আরও পড়ুন- আলিবাগে আলিশান ভিলা কিনলেন বিরুষ্কা! দাম কত জানেন? দেখুন অন্দরসজ্জা

সৌদির মানুষের মধ্যেও রোনাল্ডোকে নিয়ে উৎসাহের কোনও খামতি নেই। মরু প্রান্তর জুড়ে এখন রোনাল্ডো উৎসব। সৌদির জনগণের হাসি, কান্না সব কিছুরই অংশ হয়ে উঠেছেন সিআর৭। এদিন তাঁকে দেখা গেল তলোয়ার হাতে৷ গায়ে সাদা জোব্বা। এর পাশাপাশি নীল ও সোনালী রং-এর ডাগলা পরেছিলেন রোনাল্ডো। একি হল রোনাল্ডোর? 

ronaldo

এদিন সৌদি আরবের ট্র্যাডিশনাল পোশাকেই নিজেকে সাজিয়েছিলেন সিআর-৭। ২০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সৌদিতে গিয়ে পাকাপাকিভাবে কি সে দেশেরই হয়ে গেলেন তিনি? এ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই৷ রোনাল্ডোকে দেখে কেউ বলবেন না যে তিনি ভিন দেশের নাগরিক৷ আরবের শেখদের মতোই দেখাচ্ছে তাঁকে। এমনটাই বলছেন নেটিজেনরা।

কেন সৌদির ট্র্যাডিশনাল পোশাক গায়ে জড়ালেন সিআর৭? আসলে ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল সৌদির প্রতিষ্ঠা দিবস। রোনাল্ডোকে সঙ্গে নিয়ে ধুমধাম করে এই দিনটি পালন করে আল নাসের। শেখদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তলোয়ার হাতে নাচলেন রোনাল্ডোও। ছবি পোস্ট করে টুইটারে লিখেন, ‘প্রতিষ্ঠা দিবসে সৌদি আরবকে শুভেচ্ছা।’’

রোনাল্ডো

ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে, রোনাল্ডোর জোব্বার উপরে ছিল সৌদির জাতীয় পতাকা। সে দেশের সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছেন প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলার। সৌদির বিশেষ এই দিনটি যে রোনাল্ডো বেশ উপভোগ করেছেন, তা ফুটে উঠেছে তাঁর মুখের হাসিতেই।
 

এদিকে, রোনাল্ডোর নতুন লুকে ফিদা বান্ধবী জর্জিনা রড্রিগেজ৷ তাঁর ছবি টুইট করে লিখলেন ‘হ্যান্ডসাম’৷ এই বিশেষ দিনে সৌদির জনগণকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনিও৷ 

ফুটবলার হিসাবে রোনাল্ডোর জগৎ জোড়া নাম৷ খেলেছেন তাবড় তাবড় ক্লাবে৷ বিজ্ঞাপনের দুনিয়াতেও তাঁর চাহিদা যথেষ্ট৷ কেরিয়ারের এতগুলো বছর সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফুটবল খেলার পর কেন সৌদি আরবের ক্লাবে খেলতে এলেন? এ প্রশ্ন ছিল অনেকের মনেই৷ এর উত্তর অবশ্য সিআর৭ নিজেই দিয়েছেন৷ তিনি মনে করেন ধীরে ধীরে এশিয়ার ফুটবলও উন্নত হচ্ছে৷ আরবে এসে শুধু সে দেশের ক্লাবের হয়েই খেলা নয়, আপন করে নিলেন তাদের সংস্কৃতিকেও৷ আর রোনাল্ডোকে নিয়ে এমআরসুল পার্কে বিশেষ দিনটি উদযাপনে মাতল আল নাসের৷