মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক খেলায় ‘অন্ধকারে’ ইস্ট বেঙ্গল, তোপ দিলীপের

মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক খেলায় ‘অন্ধকারে’ ইস্ট বেঙ্গল, তোপ দিলীপের

cb8cf59a1937ffedf6a4fe29d88377cd

কলকাতা: ইনভেস্টার ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের খেলা ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা৷ এই নিয়ে বিস্তর জটিলতাও তৈরি হয়েছে৷ গতকাল পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে ক্লাবকর্তাদের সমর্থনকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্লাবকর্তাদের বিরোধী গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ক্লাব চত্বর৷ লাল-হলুদ শিবিরের এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

আরও পড়ুন- ISL-এ ইস্ট বেঙ্গলের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ক্লাব চত্বর

 
বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি৷ সেখান থেকেই আজ সকালে একটি টুইট করেন তিনি৷ সঙ্গে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন৷ সেখানে তাঁর সাফ কথা, মুখ্যমন্ত্রীর উপর অতিরিক্ত ভরসা করেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ডুবিয়েছেন৷ তাঁদের আবেগ নিয়ে খেলা করেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করেই ক্লাবের এই দুর্দশা৷ সেই সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গল শিবিরের সমর্থকদের মধ্যে এই কোন্দলের জন্যে দুঃখও প্রকাশ করেছেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- তীরে এসে তরী ডুবল ব্রিটিশদের! ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো কাপ ঘরে আনল ইতালি

এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘ভোটের আগে গত বছর নবান্নতে শ্রী সিমেন্ট নামে একটি সংস্থার সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গলের মৌ চুক্তি করিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই চুক্তিই ক্লাবের মৃত্যু পরোয়ানা বয়ে এনেছে৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘আজ ক্লাব অন্ধকার গলিতে পৌঁছে গিয়েছে। কাল কী হবে, কেউ জানে না। এখন এই চুক্তিপত্রে সই করলে ইস্ট বেঙ্গল আর ক্লাব থাকবে না৷ কোম্পানি হয়ে যাবে৷ তখন ক্লাবের সচিব বা সভাপতির পদ হয়ে যাবে আলংকারিক৷ সদস্য-সমর্থকদেরও অনুমতি নিয়ে মাঠে ঢুকতে হবে৷ এটা ভালোই বোঝা যাচ্ছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি জানি না এর পিছনে রহস্যটা কী? শ্রী সিমেন্টের কাটমানির খেলা নয়া তো? ক্লাব নিয়ে আমরা সবসময়েই আবেগে ভাসি। মানুষের আবেগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খেলার অধিকার কে দিয়েছে?’

এই পরিস্থিতিতে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল আদৌ কি ইস্ট বেঙ্গল আইএসএল খেলতে পারবে? দিলীপ ঘোষ বলেন, এই পরিস্থিতি শুধু ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকদের অপমান নয়, গোটা বাংলার অপমান৷  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা করেই এই দুর্দশা৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *