মুম্বই: তাঁর হাত ধরেই বার্মিংহাম কমনওয়েলথে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল দেশ। প্রায় শিখড় ছুঁয়েই ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পদস্খলন। অল্পের জন্য অধরা থেকে গেল দেশের প্রথম সোনার পদক৷ স্ন্যাচিংয়ে ১১৩ কেজি তুলে শীর্ষে ছিলেন তিনি৷ কিন্তু, ক্লিন এবং জার্ক বিভাগে আর প্রথম স্থান ধরে রাখতে পারলেন না। এই বিভাগে প্রথম চেষ্টায় ১৩২ কেজি তোলেন সঙ্কেত৷ দ্বিতীয় বার ১৩৯ কেজি তুলতে গিয়েই হাতে চোট পান। তবে হার মানতে চাননি এই ভারতীয় ভারোত্তোলক। চোট নিয়েই তৃতীয়বার ভার তুলতে আসেন৷ কিন্তু ব্যর্থ হন। অবশেষে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন- ২০২৫-এ মহিলা ক্রিকেটে একদিনের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত! দারুণ খুশি সৌরভ
সঙ্কেতের জন্ম মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায়৷ যেখানে ভারোত্তোলন একটি অতি পরিচিত খেলা। সাংলিতে ছোট থেকেই ছেলেরা ভারোত্তোলন করেন৷ ব্যতিক্রম ছিলেন না সঙ্কেতও৷ তখন তাঁর বয়স ১৩৷ শুরু হয় ভারোত্তোলনের প্রশিক্ষণ৷ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সঙ্কেত৷ বাবার সামান্য পানের দোকান৷ কিন্তু অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতি কখনই তাঁর প্রশিক্ষণের পথে বাধা হতে পারেনি৷ অনুশীলন করে গিয়েছেন নিষ্ঠার সঙ্গে৷
সঙ্কেত প্রথম নজরে আসেন ২০২০ সালে সিনিয়রদের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে৷ ওই প্রতিযোগিতায় তিনি সোনা জেতেন৷ ২০২০ সালে খেলো ইন্ডিয়া গেমসেও সোনা পান তিনি। সেখান থেকেই শুরু হয় সাফল্যের উত্থান৷ তিন বারের জাতীয় সেরা হন সঙ্কেত৷ গত বছর সিঙ্গাপুরে ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় মোট ২৫৬ কেজি তুলে জাতীয় রেকর্ড গড়েন৷ স্ন্যাচিং বিভাগে ১১৩ কেজি তোলেন। এই বছর ভুবনেশ্বরে সিনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন কমনওয়েলথ গেমসে। সেখানেও একই ওজন তুলেছিলেন৷ ক্লিন এবং জার্ক বিভাগে ১৪৩ কেজি তোলেন। তবে কমনওয়েলথে ১৩৯ কেজি তুলতে গিয়ে হাতে চোট লাগে তাঁর৷ সন্তুষ্ট থাকতে হয় রুপোয়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>