স্বপ্নের আরব্য রজনীতে লেখা হল রূপকথা! কিন্তু জানেন কি বিশ্বকাপ থেকে কত আয় করল ফিফা?

স্বপ্নের আরব্য রজনীতে লেখা হল রূপকথা! কিন্তু জানেন কি বিশ্বকাপ থেকে কত আয় করল ফিফা?

39ea462a7f8a727232fa55e28821926f

কলকাতা:  বেদুইনের দেশে রবিবাসরীয় রজনীতে লেখা হল এক ঐতিহাসিক অধ্যায়৷ ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয় আর্জেন্টিনার৷ তবে কড়া টক্কর দিয়েছিল ফ্রান্স৷ একটা সময় ম্যাচের ভাগ্য দুলছিল পেন্ডুলামের মতো৷ এক রোমহর্ষক লড়াইয়ের পর ফুটবল বিশ্বকাপের রং হল নীল-সাদা৷ 

আরও পড়ুন- পেলে, মারাদোনার সিংহাসনে বসলেন মেসি! ফুটবল সম্রাজ্যে অবশেষে অমরত্ব পেলেন ঈশ্বরের আরেক বরপুত্র!

বিশ্বকাপ ফাইনালে গোটা ফুটবল বিশ্ব যেমন দেখল মেসির পায়ের জাদু, তেমনই নিরাশ করেননি এমবাপেও৷ তবে শেষ হাসি হাসলেন লিও৷ এই একটা টুর্নামেন্টের জন্য বছরের পর বছর ধরে চলে প্রস্তুতি আর বিনিয়োগ৷ বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপ থেকে ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছে ফিফা৷ যা ২০১৮-র রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বেশি৷ কাতার বিশ্বকাপে ওই উপার্জন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল ফিফার ব্যয় সংকোচ৷ কাতারে গোটা টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয় একটি শহরের মধ্যে৷ এর ফলে যাতায়াত খরচ এবং আনুষাঙ্গিক খরচা অনেকটাই কম হয়েছে৷ উল্লেখ্য, কাতারে যে ৮টি স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে, তার প্রত্যেকটিই ছিল ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে৷ 

ফিফা পুরো টুর্নামেন্টের জন্য মোট ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার রেখেছিল। চ্যাম্পিয়ন দল পায় ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও একটা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ফিফার প্রচুর খরচ হয়। বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য পুরস্কার মূল্যের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে খরচ করতে হয় ফিফাকে। যেমন- আয়োজক দেশের বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটিকে অর্থ প্রদান, বিভিন্ন দলের ফুটবলার ও সাপোর্টিং স্টাফদের যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত কর, বিশ্বকাপের পর আয়োজক দেশে ফুটবলের বিকাশে পরিকাঠামোগত সহযোগিতাও করা। ঢালাও খরচ করার পরেও প্রচুর আয়ও হয় ফিফা। কীভাবে জানেন?

 
টিভি রাইটস – ফিফার সর্বাধিক আয় হয় বিশ্বকাপ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টের জন্য টিভি সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রি করে৷ এখান থেকে আসা প্রায় ৫৬ শতাংশ উপার্জন৷ 
 

মার্কেটিং রাইটস – ফিফার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলি। এই ধরনের বড় বড় ব্র্যান্ডগুলি ফিফার ডেভেলপমেন্ট ও সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ফান্ডের পার্টনার হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক স্তর থেকে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত ফুটবলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিফার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে থাকে বিভিন্ন সংস্থা। 

* টিকিট বিক্রি এবং হসপিটালিটি – অধীনস্থ সংস্থার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করেও প্রচুর লাভ করে থাকে ফিফা। ২০১৫-১৮ চক্রে টিকিট বিক্রি বাবদ ফিফা লাভ করেছিল ৭১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাতার বিশ্বকাপের জন্য ৩ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়। 

* ব্র্যান্ডিং এবং লাইসেন্সিং – ব্র্যান্ড লাইসেন্সিং থেকেও ফিফার আয় হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্য ইলেকট্রনিক আর্টস সিরিজ। এর সঙ্গে ফিফার ২০ বছরের পার্টনারশিপ রয়েছে। প্রতি বছর ওই গেমস প্রস্তুতকারক সংস্থা বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফাকে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে থাকে।