নয়াদিল্লি: বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে সমস্যা যে তৈরি হয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না কিন্তু এই ব্যাপারে বিরাট ভাবে কোন দেশকে মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। কিন্তু সমস্যা আছে এখন চূড়ান্ত আকার ধারণ করতে চলেছে তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়ে দিলো রাষ্ট্রপুঞ্জের। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জ দাবি করেছে যে, এই দশকেই বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে প্রায় দেড় ডিগ্রী। অর্থাৎ মনুষ্য জীবনের জন্য ঘনিয়ে আসছে বিপদ।
সোমবার ১৯৫ টি সদস্য দেশকে নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বৈঠকের স্বচ্ছ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ প্যানেল। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের বিপদজনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। গত এক দশক আগেই এমনটা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল যা এখন বাস্তব রূপ নিচ্ছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বের সার্বিক তাপমাত্রা প্রায় ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে বিশ্বের জলস্তর। সব মিলিয়ে বড় রকমের বিপদে আছে মানব জীবনের দিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন কতটা উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বর্তমানে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে। বলা হচ্ছে যে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কোন জায়গায় এই পরিবর্তন ঘটছে না বরং বিশ্বের সর্বত্র এই বৃদ্ধি ঘটছে।
আরও পড়ুন- SSC নিয়োগে বার বার অস্বচ্ছতা কেন? রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা হাই কোর্টের
উষ্ণতা হু হু করে বাড়লেও খুব তাড়াতাড়ি শীতল হচ্ছে না, এই জিনিস বেশ কিছু বছর আগেও লক্ষ্য করা যেত না। আগের থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে জলবায়ু পরিবর্তন কতটা ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্টে বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য মানুষ এবং তাদের জন্য ঘটে যাওয়া পরিস্থিতিকেই দায়ী করা হয়েছে। গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলই উষ্ণায়নের মূলে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই রিপোর্টে। এই প্রেক্ষিতেই আশঙ্কা করা হয়েছে যে, এ ভাবে চললে, প্রতি ১০ বছরে এক বার বা প্রতি ৫০ বছরে এক বার যদি তীব্র বন্যা, খরা হয়, তাহলে আগামী দিনে তা আরও ঘন ঘন হবে।