মহাকাশে নয়া নজির, দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট ‘বিক্রম-এস’-এর সফল উৎক্ষেপণ

মহাকাশে নয়া নজির, দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট ‘বিক্রম-এস’-এর সফল উৎক্ষেপণ

কলকাতা: দেশের প্রথম বেসরকারি রকেটের সফল উৎক্ষেপণ৷ শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়াব স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে মহাকাশে পাড়ি দিল ‘বিক্রম এস’৷ এই রকেটটি তৈরি করেছে হায়দরাবাদের বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’৷ ‘বিক্রম এস’-এর উদ্বোধন সফল হতেই ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ 

আরও পড়ুন- ৫০ বছর পরে ফের চাঁদের মাটিতে পা দেবে মানুষ? মহাকাশে পাড়ি দিল নাসার মহাকাশযান

ইসরো সূত্রের খবর, উৎক্ষেপণের পর সফল ভাবেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে ‘বিক্রম-এস’। সফলভাবে এই রকেট উৎক্ষেপণের পরেই টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘এটি ভারতের কাছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত৷ আজ শ্রীহরিকোটায় স্কাইরুট এরোস্পেসের তৈরি বিক্রম এস-এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে৷ ভারতের প্রাইভেট স্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন।’  ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’-এর মহাকাশ অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘প্রারম্ভ’। এটি বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি প্রথম রকেট৷ এর নামকরণ করা হয়েছে ভারতের স্বনামধন্য গবেষক তথা মহাকাশ অভিযানের প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুসারে।

চলতি মাসের গোড়ায় ‘বিক্রম-এস’-এর নির্মাতা সংস্থা ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’-এর সিইও পবনকুমার চন্দানা জানিয়েছিলেন, রকেট নির্মাণের কাজ সফল ভাবেই শেষ হয়েছে। নভেম্বরের ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে সেটি মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবে৷ কিন্তু ইঞ্জিনের কিছু ছোটখাটো সমস্যার জেরে উৎক্ষেপণের সময়সীমা কিছুটা বদল করা হয়। শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় ‘বিক্রম এস’৷ নির্মাতা সংস্থার তরফে টুইট করে সে কথা জানানো হয়।

বিক্রম-এস’ একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল রকেট। বিক্রম সিরিজের অন্য রকেটগুলির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করতে সাহায্য করবে ‘বিক্রম এস’। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দেশে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ঢালাও সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের। ঠিক হয় শুধু ইসরো নয়, ভারতে এ বার রকেট বানাতে বেসরকারি সংস্থাও। যা মহাকাশে পাঠানো হবে৷ বেসরকারি উদ্যোগে বানানো হবে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।

ইসরোর পাশাপাশি দেশে মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি সংস্থাগুলিকে জায়গা করে দিতে আলাদা একটি সংস্থা গড়ার প্রস্তাব বছর কয়েক আগে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ ওই সংস্থার নাম ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস)’।

স্কাইরুট এরোস্পেসের তৈরি এই রকেট ১০০ কিলোমিটারের কামরান লাইন অক্ষাংশ ছুঁয়েছে৷  উল্লেখ্য, এই লাইনই পৃথিবী থেকে মহাকাশের বিভাজন করে৷ উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা পবন তন্দনা ও ভারত ডেকা। ২০১৮ সালে তাঁরা এই সংস্থা শুরু করেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী,  আপাতত ছোট ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চের দিকেই এগোনের লক্ষ্য নিয়েছে তারা৷