নয়াদিল্লি: নীল সাগরের হাতছানিতে সমুদ্র সৈকতে ছুটে যায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষ৷ বালির তটে বসে সমুদ্রের ঢেউ দেখতে কার না ভালো লাগে৷ আর বাঙালির বেড়ানো মানেই তো দিঘা বা পুরী৷ সমুদ্রের ছোট বড় ঢেউয়ের সঙ্গে মিলে যায় আমাদের মন কেমন করা অনুভূতিগুলি৷ সাগরে কখনও বিশালাকৃতির ঢেউ লক্ষ্য করা যায়, কখনও আবার ছোট। কিন্তু জানেন কি ঢেউয়েরও প্রকারভেদ আছে। আছে কিছু ঘাতক। ছোট বা বড় ঢেউ নয়, এই ঢেউ বর্গাকৃতির!
আরও পড়ুন- চাঁদের মাটিতে মিলতে পারে অক্সিজেন, জ্বালানি! হতে পারে বসতি, দাবি গবেষকদের
শুনতে অবাক লাগলেও সাগরের বুকে লুকিয়ে রয়েছে এমনই কিছু ঘাতক ঢেউ। তবে এই ধরনের ঢেউ সচরাচর এবং সর্বত্র দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্গাকৃতির এই ঢেউ কিন্তু প্রাণঘাতী৷ দূর থেকে দেখলে খুবই সুন্দর লাগে৷ কিন্তু, সেই সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর এক রূপ৷ যা বাইরে থেকে দেখলে বোঝা দায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত খোলা সমুদ্রেই এই ধরনের ঘাতক ঢেউয়ের দেখা মেলে। তবে অনেক সময় তা উপকূলের কাছাকাছিও চলে আসে৷
কিন্তু, প্রশ্ন হল কী ভাবে তৈরি হল এই ঢেউ? বিশেষজ্ঞদের কথায়, সাধারণত দু’টি পরস্পর বিপরীতমুখী ঢেউয়ের জেরে এই বর্গাকৃতি ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। তা ছাড়াও, একই জায়গায় আবহওয়ার দুই ভিন্ন চরিত্রের জেরেও এই বর্গাকৃতি ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে। সেই সময় অনেকটা দাবার বোর্ডের বর্গাকৃতি ঘরের মতো ছবি তৈরি হয় সমুদ্রের পৃষ্ঠে। উপর থেকে তাকালে মনে হবে কৃত্রিম ভাবে কেউ যেন ওই চৌকো ঘর তৈরি করে দিয়েছে৷
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি-র দাবি, মাঝ সমুদ্রে এই ধরনের ঢেউ বিপদ ডেকে আনে৷ এই বর্গাকৃতি ঢেউয়ের মুখে পড়ে বেশ কয়েকটি জাহাজডুবির ঘটনাও ঘটেছে। ফ্রান্সের আইল ডে রে-তে এই ধরনের ঢেউ-এর দেখা মেলে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে ক্রমেই ঢেউয়ের চরিত্র বদল ঘটছে। আরও বেশি ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে সমুদ্রের ঢেউ। এর প্রভাব পড়ছে উপকূলীয় এলাকাতেও৷ সেখানেও চলছে ধ্বংস যজ্ঞ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>