Aajbikel

বনধ ঘিরে উত্তাল বাংলা! কৃষিক বিক্ষোভে ধুন্ধুমার পঞ্জাব-হরিয়ানা!

 | 
বনধ ঘিরে উত্তাল বাংলা! কৃষিক বিক্ষোভে ধুন্ধুমার পঞ্জাব-হরিয়ানা!

নয়াদিল্লি: ২১-এর ভোটের আগে শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে একজোট হয়ে পথে নামলেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে মিছিলে পা মেলালেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, অভিতাভ চক্রবর্তীরা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে এদিন ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল ১৬টি শ্রমিক সংগঠন৷ এই বনধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়৷ চলে পুলিশের লাঠিচার্জ, ধ্বস্তাধ্বস্তি৷ বিভিন্ন জায়গায় পথ ও রেল অবরোধে ব্যহত স্বাভাবিক জীবন৷ অন্যদিকে, কৃষকদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিয়ানা৷ 

আরও পড়ুন- তৃণমূল-বিজেপির পথের কাঁটা হওয়াই লক্ষ্য সিপিএমের? কোথায় গেল গর্বের ৩৪ বছর


এদিন এন্টালি থেকে শুরু হয়ে মল্লিক বাজারে এসে থাকে বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের দীর্ঘ মিছিল৷ সেখানে পৌঁছে  রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা৷ বনধের সমর্থনে এই মিছিলে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র সহ বাম এবং কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের প্রায় সব নেতৃত্বই অংশ নেন৷ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ নামিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে ভাবে বনধ ভাঙার চেষ্টা করছেন তার বিরোধিতা করেন তাঁরা৷ পথ আটকেই চলে স্লোগান৷ অন্যদিকে, শ্যাম বাজারে ব্যাঙ্ক বন্ধের চেষ্টা করে ধর্মঘটকারীরা৷ যাদবপুরেও এসবিআই-এ কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়৷ চাঁদনি চক ও সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে বন্ধের চেষ্টা করা হয়৷ হাওড়া ও শিয়ালদা শাখার একাধিক স্টেশনে অবরোধ করা হয়৷ যাদবপুরেও চলে রেল অবরোধ৷ সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটীদের বচসার খবর মিলেছে৷ বেলঘরিয়ায় রেল রোকো কর্মসূচি নেয় বামেরা৷ অবরোধ করা হয় নিউ ব্যাকারপুর স্টেশন৷ হাওড়া শাখার শ্রীরামপুর এবং চন্দরনগরেও চলে ট্রেন অবরোধ৷ মধ্যমগ্রামে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়৷ এদিন বাস চললেও এদিন অধিকাংশ বাসই ছিল ফাঁকা৷ গড়িয়ায় বাসের কাঁচ ভাঙচুর করার খবর মিলেছে৷ চালককেও হুমকি দেয় ধর্মধটীরা৷ কলকাতার ফেরি সার্ভিস ছিল স্বাভাবিক৷ তবে যাত্রী সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম৷ 


অন্যদিক, এদিন সকালে ধর্মতলায় টায়ার পুড়িয়ে পথ অবরোধ করে বাম-কমগ্রেস সমর্থকরা৷ বারাসতে কলোনি মোড়ে ধর্মঘটীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ বেশ কয়েক জন আহত হন৷ বিটি রোডেও অবরোধকারীদের হঠাতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ৷ লাঠির আঘাতে এক ধর্মঘটীর মাথা ফেটে যায়৷ আবার যাদবপুরে রাস্তা আটকে ফুটবল, ক্যারাম, টেবিল টেনিস খেলা হয়৷ বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকানপাট৷ অনেক জায়গায় জোড় করেও দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ 

আরও পড়ুন- গোটা বাংলার অবসার্ভার আমি! কার সঙ্গে কার যোগাযোগ, সব জানি: মমতা


ভারত বনধের মধ্যেই হরিয়ানায় কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ধুন্ধুমার৷ হরিয়ানার কাছে আম্বালায় কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষ ঘিরে চলে ব্যাপক তাণ্ডব৷ ব্যারিকেট করে কৃষকদের পথ আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ৷ সেই ব্যারিকেট ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে হাজার হাজার কৃষক৷ জলকামান দিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ছোড়ে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা৷ পঞ্জাব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় হরিয়ানা সরকার৷

যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা৷ তবে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েও তাঁদের রোখা যায়নি৷ পঞ্জাব থেকে হরিয়ানায় ঢুকে পড়ে তারা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই তাঁদের দিল্লি চলো অভিযান৷ 

Around The Web

Trending News

You May like