গোটা বাংলার অবসার্ভার আমি! কার সঙ্গে কার যোগাযোগ, সব জানি: মমতা

তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী

শুনুকপাহাড়ি: বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বললেন, তিনি গোটা বাংলার অবসার্ভার! এইরকম একটা সময় যেখানে, রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো এই ধরনের মন্তব্য জল্পনা আরো বাড়ায় বৈকি। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর বঙ্গ রাজনীতির উত্তেজনার পারদ যে আরো বাড়লো তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এদিন বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ি ময়দানের জনসভা থেকে মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই গোটা রাজ্যে তিনি একমাত্র অবসার্ভার, রাজ্যের কোথায় কি হচ্ছে, কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, কে কার সঙ্গে যোগাযোগ করছে, সবই তিনি জানেন। সব হিসাবে তার রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পাশাপাশি এও বলেন, গোটা রাজ্য পরিচালনা করতে দল তাকে সাহায্য করছে। এই প্রেক্ষিতে নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, কেউ কেউ দল ভাঙ্গানোর জন্য ফোন করে তৃণমূল নেতা এবং কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার অফার দিচ্ছে। তারা হয়তো ভাবছে একদিন না একদিন দল ভেঙে সবাই সেখানে চলে যাবে। কিন্তু এই সুযোগ তারা কখনোই পাবে না বলে স্পষ্ট করেন মমতা। এক্ষেত্রে তিনি যে পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর কথা বলে বিজেপিকে তোপ দাগলেন তা বুঝতে কারোর বাকি নেই। তাই জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর একদিকে যেমন শাসক দলের প্রতি সাধারণের জল্পনা আরো বাড়লো, কেমনি শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক পদক্ষেপের প্রতি আকর্ষণ আরো তীব্র হল।

বেশকিছু সপ্তাহ বাবদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা গুরুত্বপূর্ণ নেতা শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে এসেছেন। কখনো কোথাও সভা করেছেন যেখানে তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না, নয়তো জনসভা করে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে তাড়াননি, তিনিও যাননি! পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছে ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক পর্যন্ত করতে হয়েছে। তবে শাসকদলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, শুভেন্দু ১০০ শতাংশ তৃণমূলেরই রয়েছেন, আগামী দিনে একসঙ্গে নির্বাচন লড়বেন। তবে বিজেপির তরফে যে বক্তব্য সামনে এসেছে, তাতে বঙ্গ রাজনীতির উত্তেজনার পারদ হু হু করে বাড়ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় রকমের একটা পালাবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এ রাজ্যে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *