Aajbikel

ইডি-র পর এবার সিবিআই! ‘তলব’ মেনে নিজাম প্যালেসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

 | 
নিজাম প্যালেস

ইডির পর এবার সিবিআই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এই তলব।  

শনিবার সকাল ১১টায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করা হয়েছিল। সেই মতো সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে কালীঘাটের বাড়ি থেকে রওনা দেন অভিষেক। সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তৃণমূল সাংসদ। কয়লা পাচার মামলায় এর আগে দুবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছে অভিষেক।


৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ঃ
কয়লাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠায় ইডি। প্রথমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয় অভিষেক।  টানা  ৯ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।

ইডি-র দফতর থেকে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে সেদিন দিল্লির রাজপথে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরোধিতায় হুংকার দিয়েছিলেন অভিষেক। 
 
এর ৬ মাস পর, অর্থাৎ ২০২২ সালের ২১ মার্চ কয়লাকাণ্ডে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তবে অভিষেক একাই শুধু নন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  
 

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১-  কয়লাকাণ্ডে বাড়িতে গিয়ে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে CBI 
১৪ জুন ২০২২-  ‘শান্তিনিকেতন’ গিয়ে ফের রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে CBI । ৭ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। 
২৩ জুন ২০২২- ED-র জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় সন্তানকে সঙ্গে দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান।  

স্ত্রী রুজিরা ছাড়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন অভিষেকের শ্যালিকাও। কয়লা পাচার মামলায় ED-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক-শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরও। ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের।  

কি কারণে তলব?

ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর পরেই রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষও এক দাবি করেন। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান হেস্টিংস থানাতেও। 

মামলা শুনে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই বা ইডি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে অনুমতি দেন। পরবর্তীতে মামলা বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে সরলে তিনিও পূর্ববর্তী নির্দেশই বহাল রাখেন।এরপরই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন অভিষেক। 

শুক্রবার সেই আবেদন জরুরি ভিত্তিতে শুনতে রাজি হয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে ফেরত যায় মামলা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চও জরুরি ভিত্তিতে সেই আবেদন শুনতে রাজি হয়নি।


মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানান অভিষেক। সেই আবেদনের মধ্যেই শুক্রবার বিকেলে সিবিআই তলবের নোটিস পান সাংসদ। যে কারণে কর্মসূচি স্থগিত রেখেই তাঁকে কলকাতা ফিরতে হয়। অভিষেকের হাজিরা ঘিরে শনিবার নিজাম প্যালেসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

একদিকে যখন সিবিআইয়ের দুয়ারে হাজির হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিন সকাল থেকে আর ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তার বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে গোয়েন্দারা।

Around The Web

Trending News

You May like